বীরভূম: বোলপুরের (Bolpur) ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যারাজে অনুব্রত (Anubrata Mondal)-ব্যবহৃত একাধিক গাড়ি। WB 54U 6666 নম্বরের ফোর্ড এন্ডেভার গাড়িটি প্রবীর মণ্ডলের (Prabir Mondal) নামে। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ফোর্ড এন্ডেভারের মালিক প্রবীর মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। এবিপি আনন্দকে তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারির টেন্ডার পেতে ৪৬ লক্ষ টাকার গাড়ি দিয়েছিলাম অনুব্রতকে। নগদ ৫ কোটি টাকাও দিয়েছিলাম। টেন্ডার না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দেন অনুব্রত। অনুব্রত হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, গাঁজা কেস দিয়ে দেব। গাড়িতে চাপবি, নাকি প্রাণে বাঁচবি?’


শুক্রবার অনুব্রতকে আদালতে পেশের আগে রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস তল্লাশি চালাল সিবিআই (CBI)। রাইস মিলে (Rice Meal) ঢুকতেও সিবিআইকে (CBI) বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গেট না খোলায় প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে সিবিআই আধিকারিকদের। স্থানীয়দের দাবি ভোলে ব্যোম রাইস মিল অনুব্রত মণ্ডলের। সূত্রের খবর, ভোলে ব্যোম রাইস মিলের ডিরেক্টর পদে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা (Sukanya Mondal)। 


ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অন্যতম ডিরেক্টর অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির এক গৃহকর্মী! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআই সূত্রে। এমনকি মণ্ডল পরিবারের নামে থাকা দুটি কোম্পানির ঠিকানা ভোলে ব্যোম রাইস মিল হলেও, সেখানে মিলল না সেই সংক্রান্ত কোনও নথি! তাহলে কি ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা হচ্ছিল, উঠছে প্রশ্ন।


<নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে গরু পাচার। দুই ক্ষেত্রেই কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আর দুই ক্ষেত্রেই তদন্তে হদিশ মিলেছে কোটি কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ির। দুর্নীতির টাকার সঙ্গে কি এই দামি গাড়ির যোগ রয়েছে? তা এখন খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।


তিলপাড়া ব্যারেজ সংস্কারের কাজ পাইয়ে দিতে ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।  টেন্ডার পেতে ৪৬ লক্ষ টাকার গাড়ি দেওয়া হয়েছিল বীরভূমের তৃণমূল সভাপতিকে। টাকা দেওয়া হয়েছে সায়গল হোসেনকেও। বিস্ফোরক দাবি দুই ব্যবসায়ীর।


অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে ও স্ত্রীর নামে থাকা, ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যারাজে পাঁচ-পাঁচটি গাড়ি।যার মধ্যে ৩টি গাড়ির মালিকানা রয়েছে অন্যের নামে। রাইস মিলে কেন রাখা ছিল অন্যদের গাড়ি? এই গাড়িতেই করেই কেন কলকাতায় এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল? তুঙ্গে বিতর্ক। বোলপুরে মণ্ডল পরিবারের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে অভিযান চালাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে CBI। ৪০ মিনিট ধরে বাইরেই বসে রইলেন অফিসাররা। পরে ভিতরে ঢুকে প্রায় ছ’ঘণ্টা তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, দুটি আলমারি ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি।