হিন্দোল দে, কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hussein) প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, আদালতে সায়গলের বিপুল সম্পত্তির কথা দাবি করে সিবিআই। যার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, বাড়ি থেকে ট্রেলার, পেট্রোল পাম্প, কয়েকশো গ্রাম গয়না।
এক-আধটা নয়, খান চারেক ফ্ল্যাট, পাঁচ-পাঁচটি বাড়ি। চার চাকার গাড়ি থেকে ট্রেলার, ক্র্যাশার থেকে পেট্রোল পাম্প। জমির দলিল থেকে ভরি ভরি সোনার গয়না।
সিবিআইয়ের নজরে
এ যেন গুপ্তধনের হদিশ। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী, সায়গল হোসেনের এমনই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, সায়গলের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে, আইনজীবীর উপস্থিতিতে, গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার দাবি করেন, নামে-বেনামে সায়গল হোসেনের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে রয়েছে ৪টি ফ্ল্যাট ও ৫টি বাড়ি, এমনকী নিউটাউনেও দুটি নির্মীয়মাণ বাড়ি রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর। পাশাপাশি বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে তাঁর। শুধু স্থাবর সম্পত্তি নয়, সিবিআইয়ের দাবি, সায়গলের গাড়ির সংখ্যাও চমকে দেওয়ার মতো।
আরও পড়ুন, অগ্নিপথ নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ, ৩৫টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে নিষিদ্ধ কেন্দ্র
গাড়ির সমারোহ
সিবিআইয়ের দাবি, ৩টি ১০ চাকার ট্রেলার, ছোট-বড় মিলিয়ে ১০টি গাড়ি রয়েছে সায়গলের। কয়েকশো গ্রাম সোনার গয়নার পাশাপাশি আছে ২টি পেট্রোল পাম্প, ক্র্যাশার মেশিন। সিবিআইয়ের সম্পত্তি-সংক্রান্ত তথ্যের বিরোধিতা করেন সায়গল হোসেনের আইনজীবী। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, সিজার লিস্ট ছাড়া কীভাবে আদালত এমন বক্তব্য গ্রহণ করছে।
এর পর বিচারক, সিজার লিস্টের মাধ্যমে তথ্য জমা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারক। ২৪ জুন পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকতে হবে অনুব্রতর দেহরক্ষীকে। একজন সাধারণ কনস্টেবল হয়েও, কীভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন সায়গল তার খোঁজ চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।