আশাবুল হোসেন, কলকাতা: গরুপাচারকাণ্ডে (cattle smuggling) জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের (anubrata mondal) হাতেই বীরভূমের (birbhum) ব্যাটন। জেলে থেকেও বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি রইলেন কেষ্ট। তবে আপাতত দায়িত্বে বীরভূমের ৪ তৃণমূল নেতা। সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (abhishek banerjee0 নির্দেশ, পঞ্চায়েত নির্বাচন স্বচ্ছভাবে করতে হবে। কোনও গণ্ডগোল চলবে না। আরও বার্তা, 'শান্তিপূর্ণভাবে মানুষের রায় মাথা পেতে নিতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার বার্তাও দিলেন ডায়মন্ড হারবারের (diamond harbour) তৃণমূল সাংসদ। 


কী সিদ্ধান্ত অভিষেকের?
গ্রেফতার হওয়ার পরও তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি ছিলেন অনুব্রত। এদিন বীরভূমে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠকে বসেন অভিষেক। সেখানেই সিদ্ধান্ত, ওই জেলার দায়িত্বে থাকছেন কেষ্টই। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে চার তৃণমূল নেতা এই দায়িত্ব সামলাবেন। এঁরা হলেন, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ রায়চৌধুরী এবং অভিজিত সিংহ। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু বীরভূমে তৃণমূলের ভোট ম্যানেজার অনুব্রত মণ্ডল এখনও জেলবন্দি। ED তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর। তা নিয়ে আইনি লড়াই চলছে আদালতে। এই পরিস্থিতিতেও লালমাটির জেলায় পঞ্চায়েতের যুদ্ধ উতরোতে পোড় খাওয়া অনুব্রত মণ্ডলেই আস্থা রাখল তৃণমূল নেতৃত্ব।জেলবন্দি হলেও জেলার রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। শুক্রবারও আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জেলার অনুগামী নেতারা। 

এখন কী পরিস্থিতি?
এদিন বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলের আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিল আদালত। জামিনের আবেদন করলেন না অনুব্রতর আইনজীবীরা। শুক্রবার তাঁকে গরু পাচার মামলায় আসানসোল কোর্টে পেশ করে সিবিআই। সকাল সকাল জেল থেকে বার করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতাকে। সকাল থেকেই খবর ছিল, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুব্রতর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানাবেন না। যাতে আসানসোল জেলেই থাকতে পারেন অনুব্রত। আসলে ইডি অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায়। ইতিমধ্যেই তারা রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। তাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে যান অনুব্রতর আইনজীবীরা। সেই মামলার শুনানি শুক্রবারই দিল্লি হাইকোর্টে হওয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে শুক্রবার দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। আগামী ২৮ নভেম্বর রাইসমিল মালিক সঞ্জীব মজুমদারকেও তলব করেছে ইডি। সব মিলিয়ে চলতি সপ্তাহে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারছে না ইডি। আপাতত দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত-মামলার শুনানি পিছোল। ওই মামলার শুনানি  হবে ১ ডিসেম্বর। 


আরও পড়ুন:'কেউ যদি নিজেকে অরণ্যদেব ভেবে নেন, সেটা দুর্ভাগ্যজনক', কাকে নিশানা কুণালের