আবির ইসলাম, শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva-Bharati University) উপাচার্যের (Vice Chancellor) পদত্যাগের দাবিতে পড়ুয়াদের একাংশের আন্দোলন (Protest) অব্যাহত। উপাচার্যের বাসভবনের থেকে ৫০ মিটার দূরে মঞ্চ তৈরি করে অবস্থানে বসেছেন পড়ুয়ারা। উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়াও একাধিক দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন পড়ুয়ারা। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারও দিয়েছেন তাঁরা। ভর্তি (Admission) সংক্রান্ত জটিলতার সুষ্ঠু সমাধানের দাবিতে এই পর্যায়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে।


উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন: বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ৩ দিনে পড়ল। শিক্ষার পরিবেশ ফেরানো ও উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে বুধবার থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva-Bharati University)। বুধবার উপাচার্যের অফিসে ঢুকতে গেলে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায় নিরাপত্তারক্ষীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে ঘেরাও করে রাখা হয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। অবশেষে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর, বুধবার গভীর রাতে শাবল-গাঁইতি দিয়ে গেটের তালা ভেঙে উপাচার্যর অফিসের ভিতরে ঢোকেন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপর পুলিশ এসে, রাত তিনটে নাগাদ নিয়ে যায় উপাচার্যকে। উপাচার্য ঘেরাওমুক্ত হওয়ার পর আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ে। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakraborty) সরকারি বাসভবনের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ বেধে শুরু হয় অবস্থান- বিক্ষোভ।কিন্তু, সেই মঞ্চে বসতে বাধা দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে মঞ্চ খুলে দেওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে ১০০ মিটার দূরে মঞ্চ বেঁধে ফের অবস্থানে বসেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। উপাচার্যর নামে একাধিক পোস্টার লাগানো হয়।


কী বলছেন আন্দোলনকারীরা? আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নেই। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। পিএইচডি পড়ুয়াদের সমস্যায় ফেলা হচ্ছে।’ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট তরফে এসএফআই (SFI) নেতা সোমনাথ সৌ-এর অভিযোগ, “উপাচার্যের নির্দেশে আমাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না।’’ পড়ুয়াদের একাংশের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে অধ্যাপকদের সংগঠন বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন বা VVUFA। এনিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva-Bharati University) ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mahua Banerjee) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অন্যদিকে, ছাত্র বিক্ষোভের জেরে উপাচার্যের বাড়ির সামনে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বেসরকারি নিরাত্তারক্ষীও। নজরদারি বাড়াতে উপাচার্যের বাড়ির সামনে আরও বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা (CC Camera) বসানো হয়েছে ।


আরও পড়ুন: North Bengal University: ব্যারিকেড ঠেলে গেট ভাঙার চেষ্টা, বিক্ষোভে উত্তাল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়