রঞ্জিত সাউ, বিধাননগর : ভুয়ো চালান তৈরি করে অবৈধভাবে বালি পাচারের অভিযোগ। পুলিশের জালে বালি মাফিয়া। বীরভূমে (Birbhum) হানা দিয়ে অবৈধভাবে বালি পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার সমিক পানিগ্রাহী। অভিযোগে তিনি জানান, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে সরকারের সাইবার সিকিউরিটি রেসপন্স টিমের পক্ষ থেকে জানতে পেরেছেন, বীরভূমে বালি খাদান থেকে বালি তোলার জন্যে যে ই চালান সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়, সেই চালান কেউ বা কারা জাল করে অবৈধভাবে বালি পাচার করছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তারা জানতে পারে, সরকারি ওয়েবসাইটের নকল করে তিনটি ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করেছিল প্রতারকরা। সেখান থেকে জাল চালান তৈরি করে বালি পাচার করত এই চক্র।
পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক দিন আগে বর্ধমানে একটি বালি বোঝাই লরি আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে জাল চালান উদ্ধার করা হয়। সেই তথ্য ধরেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাইবার সিকিউরিটি রেসপন্স টিম জানতে পারে, কোনও চক্র এই জাল নথির পরিবর্তে অবৈধ বালি পাচার চক্র চালাচ্ছে। অবশেষে বীরভূমে হানা দিয়ে এই চক্রের মূল পান্ডা হাসানুজ্জামাল মোল্লাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন এবং তিনটি রাউটার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ই চালানের বিনিময়ে সরকারকে লরি পিছু ২৫০০ বা ৩৫০০ টাকা দিতে হতো। পুলিশ সূত্রে খবর, শুধু সরকারের সেই টাকা ফাঁকি দেওয়া নয়, জাল নথি তৈরি করে বালি খাদান থেকে অবৈধভাবে বালি পাচার করত এই চক্র। যার হদিশ সরকারের কাছে এসে পৌঁছত না। এই পরিস্থিতিতে এই চক্রের সঙ্গে আর কাদের যোগ রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, নদীর বুক থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে বালি (Sand)! সেই বালি পাচার (Sand Smuggling) রুখতে সম্প্রতি ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালায় বীরভূম (Birbhum) জেলা প্রশাসন। । বীরভূমের ময়ূরাক্ষী নদীর তিলপাড়া ও খটঙ্গা বালিঘাটে অভিযান চালায় সিউড়ি থানার পুলিশ। কোথাও বেআইনিভাবে বালি তোলা হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখতে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলে।
আরও পড়ুন ; বালি পাচার রুখতে তৎপরতা, ড্রোন উড়িয়ে চলল নজরদারি