গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: এক যুবকের জিভ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল দু-জন মহিলা বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করছে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) থানার পুলিশ।
শান্তিনিকেতন থানার (Shantiniketan Police Station) অন্তর্গত ফুলডাঙ্গা গ্রামের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা শমাই সোরেন (২০)। অভিযোগ, গতকাল রাত আটটা নাগাদ শমাই সোরেন আর তাঁর বন্ধু মকুল পাশেই পাকু টুডুর বাড়িতে মদ্যপান করার জন্য এসেছিলেন। সে সময়ে কোনও এক বিষয় নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এরপর মকুল বাথরুমে চলে যায়। ফিরে এসে দেখে বৃদ্ধা পাকু টুডু আর একজন মহিলা তাঁর বন্ধু শমাই সোরেনের জিব কাটছে।
আহত অবস্থায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে (Bolpur Mahakuma Hospital) নিয়ে যাওয়া হয় শমাই সোরেনকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে এসএসকেএমে স্থানান্তর করা হয়। তবে জানা গিয়েছে টাকার অভাবে বাড়ি নিয়ে চলে আসে পরিবারের লোকজন। ঘটনার খবর পৌঁছয় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশের Shantiniketan Police Station) কাছে। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত বৃদ্ধা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, সম্পত্তি বিবাদের জেরে একই পরিবারের তিনজনকে খুনের অভিযোগ ওঠে সম্প্রতি। অভিযোগ, ২ আত্মীয়র হাতেই খুন হয়েছেন তাঁরা। সিঙ্গুরের পর এবার হুগলির চণ্ডীতলা। সোমবার সকালে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় আলোড়ন তৈরি হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় মুড়ি খাচ্ছিলেন ৩ জন। কিন্তু, সেই মুড়ি আর মুখে ওঠেনি। স্থানীয় সূত্রে দাবি, সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল নিহত সঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে তাঁর দুই খুড়তুতো ভাই তপন ও শ্রীকান্ত ঘোষের। বহুবার আলোচনা করে বিবাদ মেটেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই পরিবারের বাড়ি পাশাপাশি। অভিযোগ, ঘটনার দিন সকালে সঞ্জয়ের বাড়িতে শাবল ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন তাঁর দুই খুড়তুতো ভাই। প্রথমে শাবলের আঘাত, তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরই পালিয়ে যান ২ অভিযুক্ত। হামলায় নিহত হন ধূপ ব্যবসায়ী সঞ্জয় ঘোষ, তাঁর স্ত্রী মিতালি ও মেয়ে শিল্পী। এরপরই অভিযুক্তদের বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতের এক আত্মীয় জানান, জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ ছিল। মামারা চেষ্টা করেছেন বিবাদ মেটানোর। এই ঘটনা কোনওভাবেই মানা যায় না। হুগলির (Hooghly) চণ্ডীতলায় একই পরিবারের তিনজনকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তর (Murder Accused) রহস্যমৃত্যু (Death । হুগলিরই গোবরা স্টেশনের (Gobra Station) কাছ থেকে অভিযুক্তের দেহ উদ্ধার করা হল। রেললাইনের উপর থেকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শ্রীকান্ত ঘোষের দ্বিখণ্ডিত দেহ উদ্ধার করল জিআরপি। আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
অভিযুক্ত তপন ঘোষকে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে শ্রীকান্ত ফেরার হয়ে গিয়েছিলেন। অবশেষে তাঁর দ্বিখণ্ডিত দেহ উদ্ধার করা হল রেললাইন থেকে।