পরিতোষ দাস, বীরভূম: শ্বশুরবাড়ি এসে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনা বীরভূমে (Birbhum) লাভপুরের (Lavpur) বামনী গ্রামে। জানা গিয়েছে যে, সাঁইথিয়া থানার মাঠপলশা গ্রামের শামিম আখতারের দুই মাস আগে বিবাহ হয় লাভপুরের বামনি গ্রামের আনারুল হকে মেয়ে আমিনা বিবির সঙ্গে। বৃহস্পতিবার  শামিম তাঁর স্ত্রী আমিনাকে নিয়ে লাভপুরের বামনী গ্রামে নিজের শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে।


এদিন সকালে শামিমের মৃত্যুর খবর আসে


এরপর আজ সকালে শামিমের শ্বশুরবাড়ি থেকে, শামীমের পরিবারের কাছে ফোন যায় যে তাঁদের ছেলে মারা গেছে বলে। এরপর তড়িঘড়ি শামিমের পরিবারের লোক জনেরা লাভপুরে চলে আসেন। সেখানে এসে তাঁরা দেখতে পান লাভপুর থানার পুলিশ শ্বশুরবাড়ি থেকে মৃতদেহটি লাভপুর হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। মৃত শামিমের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা খুন করেছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তাঁরা জানায়। এরপর লাভপুর থানার পুলিশ মৃতে শ্বশুরবাড়ির চারজনকে আটক করেছে। ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত শুরু করেছে লাভপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।


রাজ্যের অন্যপ্রান্তে হরিদেবপুরে আত্মঘাতী তরুণী


এদিকে, রাজ্যের অন্যপ্রান্তে হরিদেবপুরে আত্মঘাতী এক তরুণী। অর্থের অভাবে বিমান সেবিকা হতে না পারার দুঃখ। সেই থেকেই অবসাদ আর তার জেরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা। হরিদেবপুরে ১৭ বছরের কিশোরীর মৃত্যুতে এমনই দাবি করল পরিবার। সপ্তাহ খানেক আগেই মাকে ভিডিও কল করে ওই কিশোরী আত্মঘাতী হতে যান বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার ফের ঘুমের ওষুধ খান বলে দাবি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। 


বিমানসেবিকা না হতে পারার দুঃখে আত্মঘাতী!


হরিদেবপুরের কল্যাণনগরের ঘটনা। বাড়িতেই তরুণী আত্মঘাতী হন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। মেয়েটির নাম মামন দাস বলে জনা গিয়েছে। ঘরের মধ্য়ে তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। 


আরও পড়ুন: মাছের বদলে জালে উঠল বিশালকার ময়াল সাপ !