বীরভূম: ফের বীরভূমে গরু পাচারের চেষ্টা। ২৮টি গরু-সহ ৩টি পিক আপ ভ্যান আটক করল নলহাটি থানার পুলিশ। গ্রেফতার ৬। পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ড থেকে বীরভূম হয়ে মুর্শিদাবাদে পাঠানো হচ্ছিল গরুগুলিকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নজরদারি শুরু করে পুলিশ। আজ ভোররাতে নলহাটি সীমানায় গরু বোঝাই গাড়িগুলিকে আটক করে। 


এই একই দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের (paschim medinipur) দাঁতন থানার ওড়িশা-বাংলা সীমানায় (odissa bengal border) নাকা চেকিংয়ে গরুভর্তি ৮ টি গাড়ি আটকাল পুলিশ (police)। সব মিলিয়ে তাতে আনুমানিক ৬০০ থেকে ৭০০ গরু (cattle) ছিল বলে খবর পুলিশ সূত্রে।


যা জানা গেল...
বাংলা-ওড়িশা আন্তঃরাজ্য সনাকনিয়া সীমানার দাঁতন থানার পুলিশ  একটি নাকা চেকিং পয়েন্ট করেছিল। খবর ছিল, রাতের অন্ধকারে এখান থেকেই দিনের পর দিন লরি বোঝাই করে গরু পাচার হচ্ছিল। শুক্রবার রাতেও এমনই কিছুর চেষ্টা চলে বলে খবর। কিন্তু নাকা চেকিংয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। দেখা যায়, প্রত্যেকটি গাড়ির মধ্যে গরু রয়েছে। রাতেই গরুগুলি ওড়িশার ভদ্রক থেকে দাঁতন থানা পেরিয়ে বেলদায় নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে জানান গরুর গাড়ির চালক। পাচার হচ্ছিল প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০টি গরু। সেই সময়ই রাতে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় গরুর গাড়িগুলিকে বাংলায় ঢুকতে আটকে দেয় পুলিশ। ফেরত পাঠানো হয় ওড়িশাতেই। জলেশ্বর থানার পুলিশ আটটি গরুর বোঝাই গাড়িই আটক করে ফেরত নিয়ে যায়। এই নিয়ে সরব হয়েছেন দাঁতনের তৃণমূল বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান। বাংলা-ওড়িশা সীমানায় দাঁতন থানার পুলিশের নাকা চেকিং থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন কী ভাবে গরু পাচার হচ্ছিল সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। 


আগেও এক ঘটনা...
সপ্তাহখানেক আগেও রাতের অন্ধকারে ঝাড়খণ্ড থেকে তিনটি গরু ভর্তি গাড়ি বীরভূমে ঢুকছিল। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ঝাড়খণ্ড সীমান্ত নলহাটি থানার নাচ পাহাড়ি গ্রামের কাছে গত শুক্রবার ভোর রাতে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি গরু ভর্তি গাড়ি আটক করে পুলিশ। যারা গরু নিয়ে যাচ্ছিল তাদের কাছে কোন বৈধ কাগজ না থাকায়, ৩৭টি গরু ও তিনটি গাড়ি আটক করে। গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। শুক্রবারই তাঁদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলার কথা।


আরও পড়ুন: Kolkata News: 'গোপন মুহূর্তের ছবি' ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি, ফের 'মধুচক্রের কবলে' গৃহবধূ