রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: ফের প্রকাশ্যে মধুচক্র। হানি ট্র্যাপের কবলে এক গৃহবধূ। স্বামীর অভিযোগের ৩৭ দিনের মাথায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। হানি ট্র্যাপ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জমিরউদ্দিন গাজীকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে (Bidhannagar Court) তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব করে ওই যুবক গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়তে থাকে
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজারহাট থানা এলাকার বাসিন্দা ২৫ সেপ্টেম্বর বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় এসে অভিযোগ করেন যে, চলতি বছর মে মাস নাগাদ তার স্ত্রীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব হয় এক যুবকের। সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব করে ওই যুবক গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়তে থাকে। এবং পরবর্তীতে গৃহবধূর বেশ কিছু গোপন মুহূর্তের ছবি আদায় করে নেয় সেই যুবক। এরপরই ওই গৃহবধূকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে ওই অভিযুক্ত। গৃহবধূ পুরো ঘটনা তার স্বামীকে জানালে ওই অভিযুক্ত তার স্বামীর কাছে গৃহবধূর গোপন মুহূর্তের ছবি হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে টাকা দাবি করে। 'যদি তিনি টাকা না দেন তাহলে সেই ছবি পর্ণ সাইটে প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখায় অভিযুক্ত', বলে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানায় স্বামী।
আরও পড়ুন, 'বারুদের স্তূপে বাংলা', বকুলতলাকাণ্ডে বিস্ফোরক শমীক-সুজন
চন্দননগরের বাসিন্দা জমিরউদ্দিন গাজী সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক প্রোফাইল তৈরি করে হানি ট্র্যাপে ফেলত গৃহবধূদের
ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ জানতে পারে চন্দননগর এলাকার বাসিন্দা জমিরউদ্দিন গাজী সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ফেক প্রোফাইল তৈরি করে হানি ট্র্যাপে ফেলত গৃহবধূদের। পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযুক্ত নাগেরবাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সেই বাড়িতে পুলিশ হানা দিলে সেখান থেকে অভিযুক্ত পালিয়ে যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অবশেষে ৩৭ দিনের মাথায় মূল অভিযুক্ত জমিরউদ্দিন গাজীকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে এই হানি ট্র্যাপে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় এই অভিযুক্তের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।