বোলপুর, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য : সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তি । কোথায় কোথায় বেনামে সম্পত্তি রয়েছে তা নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই। এই আবহেই এবার ভোলে ব্যোম রাইস মিলের কাছেই আরও একটি রাইস মিলের সন্ধান মিলেছে। বোলপুরের (Bolpur) শঙ্কর রাইস মিল। একেবারে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের পেছনেই রয়েছে এই রাইস মিল। যা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।


আপাতত দৃষ্টিতে দেখে মনে হবে, রাইস মিলে উৎপাদন কাজ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই রাইস মিলের কর্মীরা আসেন এবং প্রতিনিয়ত আলো জ্বালানো হয় সন্ধ্যায়। কিন্তু, এই রাইস মিলের মালিক কে ? তা জানাতে চাননি স্থানীয়রা। এনিয়েই এবার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। 


আরও পড়ুন ; অনুব্রতর চালকলের সঙ্গে রাজ্যের রেশন দফতরের যোগ? চাঞ্চল্যকর দাবি সূত্রের


ভোলে ব্যোম রাইস মিলে আগেই হানা CBI-এর


শুক্রবার বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে হানা দেয় CBI। এই রাইস মিলের মালিকানা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল ও মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে। এই রাইস মিলে ঢুকতে প্রথমেই বাধা পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তারপর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেই চলেছে বীরভূমের এই হেভিওয়েট নেতার পরিবারের মালিকানাভুক্ত এই চালকল থেকে। 


শনিবার সামনে আসে আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য । অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিলের সঙ্গে রাজ্যের গণবণ্টন দফতর বা রেশন দফতরের যোগ নাকি সামনে এসেছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। শুক্রবার ভোলে ব্যোম চাল কলে সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযানে অংশ নেন ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার দুই আধিকারিক। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রতর বোলপুরের ভোলে ব্যোম ও সিউড়ির একটি রাইস মিল থেকে রেশন দফতরে চাল যেত।


এই সংক্রান্ত তথ্য মেলায় শুক্রবার অভিযানে যান এফসিআই আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে সব নিয়ম মেনে খাদ্য দফতরে চাল পাঠানো হত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, অনুব্রতর চাল কলের নামে একাধিক ডাম্পারের হদিশ মিলেছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, ভোলে ব্যোম রাইস মিলের নামে কেনা হয়েছিল বেশ কয়েকটি ডাম্পার। দুর্গাপুরের একটি শো রুম থেকে মোট ১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকার গাড়ি কেনা হয়েছিল। এর জন্য গত দুটি অর্থ বর্ষে মোট ২৮ লক্ষ টাকা জিএসটি দিয়েছিলেন অনুব্রত। এই ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অন্যতম ডিরেক্টর অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির এক গৃহকর্মী! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআই সূত্রে।