গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম : বীরভূম (Birbhum) জেলার সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) সোনাঝুরির খোয়াই হাট। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য এবং যাতে তাঁদের রোদ, ঝড়, বৃষ্টিতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য ছাউনি, শৌচালয় এবং জলের ব্যবস্থা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। কিন্তু দেখাশোনার অভাবে ভেঙে পড়েছে বাঁশের ছাউনি। শৌচালয়গুলিতেও ভরে উঠেছে আগাছা। ফলে তা আর ব্যবহারযোগ্য নেই। পাশাপাশি জলের ব্যবস্থারও শোচনীয় অবস্থা। সামনেই পুজো। তার আগে পর্যটন কেন্দ্রের এমন অবস্থা চিন্তায় ফেলেছে ব্যবসায়ীদের। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন - Birbhum : ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনার তদন্তে এবার তৃণমূল কার্যালয়ে পৌঁছে গেল সিবিআই
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিশ্বভারতী কলাভবনের প্রাক্তন ছাত্রী প্রয়াত শ্যামলী খাস্তগীরের উদ্যোগে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটটি 'শনিবারের খোয়াই হাট' নামে এলাকায় পরিচিত। এর কারণ, হাটটি প্রতি শনিবার বিকেলে বসত। সেই সময়ে হাটটি শুরু করার মূল উদ্দেশ্য ছিল ওই এলাকার এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ বিশেষ করে মহিলাদের হাতে তৈরি নানান হস্তশিল্প এবং বাড়িতে তৈরি খাবার বিক্রি করা। আস্তে আস্তে বিকিকিনি বাড়তে থাকে। তাছাড়া, দুর্গাপুজোর সময় পর্যটকের আনাগোনা বাড়ে এবং ব্যবসায়ীদের বিকিকিনিও ভালো হয়। দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় করেন শান্তিনিকেতনের হাটে। আর কিছুদিন পরই আসছে বাঙালির সবথেকে বড় উতসব দুর্গাপুজো। পর্যটকদের এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে বাঁশের ছাউনি, শৌচালয় এবং জলের ব্যবস্থা করে দেন। তাঁর নির্দেশে সেসব করা হলেও পরবর্তীকালে দেখভালের অভাবে ভেঙে পড়েছে ছাউনি। শৌচালয়গুলি ভরে উঠেছে আগাছায়। পুজোর মুখে সমস্যা ব্যবসায়ী থেকে পর্যটকরা।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেরর তৈরি হলেও ছাউনি এবং শৌচালয় দেখভালের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পর্যটকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করে জানাচ্ছেন যে, এত দূর থেকে শান্তিনিকেতনে ঘুরতে এলেও সোনাঝুরি হাটে কোনও বসার মতো জায়গা নেই। ছাউনিগুলোর অবস্থা দেখেও ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। শৌচালয়গুলির অবস্থা ঠিক করলে সুবিধা হয় বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিও অবশ্য সমস্ত বিষয়টা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।