গোপাল চট্টোপাধ্যায়, ইলামবাজার(বীরভূম) : বীরভূমের ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনার তদন্তে তৃণমূল পার্টি অফিসে গেল সিবিআই। ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ৩ তৃণমূল নেতা, কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা ও কয়েকজনের ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা।
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলার তদন্তে এবার তৃণমূলের ব্লক অফিসে পৌঁছে গেল সিবিআই । তদন্তকারীদের প্রশ্নবাণের মুখে পড়লেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি-সহ তিনজন। ২ মে, বীরভূমের ইলামবাজারের গোপালনগরে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দিনকয়েক আগে, এই ঘটনায় দুলাল মৃর্ধা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার রাতে ইলামবাজারে তৃণমূলের ব্লক অফিসে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা। ইলামবাজারে তৃণমূলের গোপালনগর বুথ কমিটির কর্মীদের নামের তালিকা ও কয়েকজন নেতার ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা।
এদিকে তৃণমূলের ব্লক অফিসে সিবিআই পৌঁছনোর ঘটনায় শুরু হয়েছে চাপানউতোর। ইলামবাজার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, দলীয় কার্যালয়ে কী জন্য এসেছিল সিবিআই, এর কারণ কী, গোটাটাই বিজেপির চক্রান্ত। আমরা মনে করি, এভাবে এসে দলকে হেনস্থা করা হয়েছে। তীব্র প্রতিবাদ করছি।
অন্যদিকে বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, সিবিআই সত্যিকারের তদন্ত করতে গিয়ে যখন তৃণমূল কার্যালয়ে ঢোকে তখন এটা তাদের বিজেপির চক্রান্ত মনে হচ্ছে, এটা ভুল। যারা প্রকৃতপক্ষে অপরাধী তারা যেখানেই থাকুক তৃণমূল কার্যালয়ে থাকুক আর পগার পারে থাকুক, তাদের খুঁজে বার করবেই।
এদিকে নলহাটিতে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় জেল হেফাজতে থাকা দুই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিল না রামপুরহাট মহকুমা আদালত। পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য সিবিআইয়ের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। বুধবার এই মামলার ফের শুনানি হবে।