আবির ইসলাম, বোলপুর: বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে বরখাস্ত করার বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পর এবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন ঘেরাও করলেন পড়ুয়ারা। গান গেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। রাতভর এই ঘেরাও চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান ও রূপা চক্রবর্তী নামে বিদ্যাভবনের আওতাভুক্ত অর্থনীতি বিভাগের তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে চলছে আন্দোলন। প্রথমে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। সেখানে উপাচার্যের আপ্তসহায়ক তন্ময় নাগ-সহ আধিকারিকদের ঘেরাও করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আধিকারিক ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে রীতিমতো বচসা বেঁধে যায় পড়ুয়াদের। এরপর উপাচার্যের বাসভবনও ঘেরাও করা হয়। এই মুহূর্তে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের গেটের দু’দিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আধিকারিকদের ঘেরাও করে রেখেছেন পড়ুয়ারা।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ৷ বিশ্বভারতীর কর্মী ও অধ্যাপকদের একাংশ বাড়িতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। সেখানে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিশ্বভারতীর কর্মী-অধ্যাপকরা উপাচার্যকে তিনদিন ধরে ঘেরাও করবেন ৷ তাকে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করবে। এরপর শুক্রবার উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্বভারতী।
অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, 'আমি বলেছি আপনারা আন্দোলন করুন। আপনাদের আন্দোলন তৃণমূল সমর্থন করবে। তিনদিন ভিসির বাংলো ঘেরাও করা হবে। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ঘেরাও হবে। এবার ওর পাগলামো ছাড়িয়ে দেব।' এরপরেই ঘেরাও করা হল উপাচার্যর বাসভবন।
পড়ুয়াদের বিক্ষোভ-ঘেরাওয়ের মাঝে আটকে পড়া বিশ্বভারতীর এক কর্মী জানান, ‘আমাদের আটকে খারাপ ব্যবহার করল পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় খুব দুঃখিত আমরা।’
পড়ুয়ারা অবশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। সারারাত ধরে তাঁদের আন্দোলন চলবে।