গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ মাদকাসক্ত। এই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। রাজ্য সরকারের জন্যই অবক্ষয়ের পথে পড়ুয়ারা। তৃণমূল সরকারকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, বিশ্বভারতীতে নাকি এত নেশাখোর হয়ে গিয়েছে, পাতা না কি সেটা ছেলেরা খাচ্ছে! সেটা না কি মেয়েরাও খাচ্ছে! আমি ভাবলাম, হায় রে দুর্ভাগ্য! রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে বোধ হয় সুইসাইড করতেন।
এবার বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশের মাদকাসক্ত হওয়া নিয়ে এই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার বীরভূমে অধ্যাপকদের একটি সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। সেখানে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের অবক্ষয় থেকে শুরু করে নিজের মেয়েকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে না পারার আফসোস... নানা বিষয় ঝরে পড়ে অনুব্রত মণ্ডলের গলায়।
অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, বিশ্বভারতী থেকে দুটো অভিযোগ পেলাম, বিশ্বভারতীতে নাকি এত নেশাখোর হয়ে গিয়েছে, পাতা না কি সেটা ছেলেরা খাচ্ছে। সেটা না কি মেয়েরাও খাচ্ছে! আমি ভাবলাম, হায় রে দুর্ভাগ্য! রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে বোধ হয় সুইসাইড করতেন। আপনাদের হাতেই চাবিকাঠি। চাবিকাঠি ঠিক থাকলে ছেলেমেয়েরা মানুষ হবে। শাসন নেই। তবু ভালবাসা দিয়ে এগোতে হবে। আমার বড় আফসোস মেয়েকে পড়াতে পারিনি এখানে।
অনুব্রতর মন্তব্যকে কার্যত সমর্থন করেও, তৃণমূল সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।বীরভূমের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের কথা ঠিক। তবে শিক্ষিতদের অবক্ষয়ের মধ্যে পাঠিয়েছে সরকারের। এদের শুধরানোর দায় নিতে হবে সরকারকেই।
“এই বিশ্বভারতী ভারতবর্ষের জিনিস হলেও, একে সমস্ত মানবের তপস্যার ক্ষেত্র করতে হবে।” তাঁর নিজের তৈরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিশ্বভারতী-পরিষদের উদ্বোধন সভায় একথা বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিন্তু, নানাবিধ নেতিবাচক ঘটনার ঘন ঘটায়, এখন প্রায় প্রতিদিনই বিতর্কে, তাঁর সেই সাধের বিশ্বভারতী।