নান্টু পাল, বীরভূম : পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে অ্যাসিড হামলার শিকার হলেন মাধ্যমিক (Madhyamik Exam 2022) পরীক্ষার্থী। তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ (Police)। পরিবারের অভিযোগ স্ত্রী (wife) পড়াশুনো ছাড়তে না চাওয়ার আক্রোশেই এই ঘটনা।


পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী স্ত্রী। সেজন্য স্ত্রীকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর (husband) বিরুদ্ধে। তা-ও মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময়। বীরভূমের নলহাটির এই ভয়াবহ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 'পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে অ্যাসিড মেরেছে', জানিয়েছেন আক্রান্ত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আক্রান্ত পরীক্ষার্থী। মেয়ের অবস্থা দেখে আক্রান্তের মা বলেছেন, 'মাধ্যমিক পরীক্ষা দিক চাইত না জামাই। কষ্ট করে পড়াশুনো চালাচ্ছিল। আমরা চাই জামাই-এর শাস্তি হোক।'


অ্যাসিড আক্রান্ত পরীক্ষার্থীর পরিবার জানিয়েছে, বছর দুয়েক আগে বীরভূমের সরধা গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন তাঁরা। দম্পতির ৩ মাসের একটি সন্তানও রয়েছে। এর মধ্যেও টানাটানির সংসারে কষ্ট করে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী। কিন্তু স্ত্রী-র পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ায় মত ছিল না স্বামীর। মঙ্গলবার স্ত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় অশান্তি চরমে ওঠে। তখনই স্বামী তাঁর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারেন বলে অভিযোগ। পুড়ে যায় মুখ ও হাতের একাংশ। 


আরও পড়ুন- শরীরে ১৮টি সেলাই পড়েছে, হাসপাতালের বিছানায় বসেই পরীক্ষা দিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী


এদিকে, মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Examination) দিতে যাওয়ার পথে সাংঘাতিক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Paraganas) উস্তির উত্তরকুসুমের কারবালার বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। যদিও ওই ছাত্রীকে অবশেষে হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। সহায়তায় এগিয়ে আসেন উস্তি থানার পুলিশ, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার মামার বাইকে করে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার আগে উস্তি থানার কেঁশলী এলাকায় একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাইকটি ধাক্কা মারে একটি গাছে। দুর্ঘটনায় বেশ আহত হয় ওই ছাত্রী। গুরুতর জখম অবস্থায় পরীক্ষার্থীকে স্থানীয়রা বানেশ্বরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। এরপর ছাত্রীর অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। চিকিৎসকরা তখন তাকে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।