ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বীরভূম: প্রকাশ্য রাস্তায় এবার সোনা ছিনতাইয়ের (Gold Robbery) ঘটনা। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরে (Dubrajpur)। সোনার গয়না হলমার্ক করিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ঘটনায় তৎপরতার সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা ২ জনকে ধরে ফেলে। একটি নেমপ্লেটহীন বাইকও আটক করা হয়েছে। তবে সোনার গয়না ও ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে একজন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে যে দুজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের বাড়ি সাঁইথিয়া থানা এলাকায়। পলাতক যে, তাঁর খোঁজ চলছে।


স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় স্বর্ণকার রতন দাস প্রতিদিনই বিভিন্ন দোকান থেকে সোনার গয়না নিয়ে দুবরাজপুর যান হলমার্ক করাতে। গত বুধবার ২৭ নভেম্বর রাতে দুর্গাপুর থেকে দুবরাজপুরে ট্রেনে নেমে বাড়ি ফেরার সময় দুবরাজপুর বাজারে তিনজন বাইকে এসে তাঁর ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। যদিও তখন রাস্তায় অনেকেই ছিলেন। তাই দুজনকে ধরে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুবরাজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ধৃত ২ জনকে জেরা করে পলাতক ব্যক্তির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।


রাজ্যজুড়ে সোনা দোকানে হামলা ও সোনা-রুপোর গয়না ছিনতাইয়ের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কিছুদিন আগেই এবিপি আনন্দেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে হাওড়া স্টেশন থেকে প্রচুর পরিমাণে সোনা ও রুপোর গয়না উদ্ধার করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয় নগদ টাকাও। RPF-এর হাতে আটক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তুলে দেওয়া হয়েছে আয়কর বিভাগের হাতে।


ঘটনার দিন রাতে হাওড়া স্টেশনের ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল হাওড়া-গয়া এক্সপ্রেস। খবর পেয়ে আরপিএফ জওয়ানরা ট্রেনের A১ কোচের ২৫ নম্বর বার্থের যাত্রী হরিশকুমার ভার্মার ব্যাগ এবং স্যুটকেসে তল্লাশি চালান। তাঁর সুটকেস থেকে উদ্ধার হয় ৭৭০ গ্রাম রকমারি সোনার গয়না, ৩৮৫ গ্রাম রুপোর মুকুট এবং নগদ ৪০ হাজার টাকা। বিহারের ভাগলপুরের এই বাসিন্দাকে গয়নার কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে তিনি দু'টি বিল ছাড়া কিছুই দেখাতে পারেননি। উদ্ধার হওয়া গয়নার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। এরপরই তাঁকে আটক করে আরপিএফ। তাঁর সমস্ত গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আজ তাঁকে সমস্ত গয়না সহ ইনকাম ট্যাক্স অফিসারদের হাতে তদন্তের স্বার্থে তুলে দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে মিলল লক্ষ লক্ষ টাকা, জাল নোট পাচারের সন্দেহ, গ্রেফতার ১