এরশাদ আলম, সিউড়ি (বীরভূম): পুজোর আগে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার মেরামতি করতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বিদ্যুৎ দফতরের অস্থায়ী কর্মীর। বীরভূমের সিউড়ির ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর সময় বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। কাজ চলাকালীন আচমকাই বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়ে যাওয়ায় ট্রান্সফর্মারে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন বিদ্যুৎ দফতরের অস্থায়ী কর্মী। পরে দমকল এসে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করা সত্ত্বেও কীভাবে চালু হল, তা নিয়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সিউড়ির রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষ্ণকুমার মিশ্র। 


 বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (electrocuted) হয়ে মারা গেলেন (death) বিদ্যুৎ দফতরের (electricity department) এক ঠিকাকর্মীর (casual staff)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় (injured) বর্ধমান (burdwan) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ জন ঠিকাকর্মী। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার খানোমোড় এলাকার ঘটনা। মর্মান্তিক খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।


কী জানা গেল? স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে মৃতের নাম সনৎ বাগদী। যিনি আহত হয়েছেন, তাঁর নাম সুমন বাগদী। খানোমোড়ের কাছে মাঠের মধ্যে ১১ হাজার ফিডারে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছিলেন দুজন। হঠাৎই অঘটন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কাজ করার সময়ই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিদ্যুৎবাহী খুঁটির তারে ঝুলে পড়েন তাঁরা। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই দুজনের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তাঁদের সহযোগিতায় পুলিশ সনৎ ও সুমনকে উদ্ধার করে পুরষা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ডাক্তাররা সনৎ বাগদীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


কেন অঘটন? বিদ্যুৎ দফতরের বর্ধমান নর্থ ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার ইমদাদুল মণ্ডল জানিয়েছেন,ওঁরা যেখানে কাজ করছিলেন সেখানে একাধিক বাল্ক লাইন আছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে কেউ বা কারা জেনারেটর চালানোর জন্য হয়তো লাইন 'ব্যাক' করে ওই ঘটনা ঘটে। তবে কর্মীরা কাজের সময় নিরাপত্তা সামগ্রী ব্যবহার করেছিলেন কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার, মনে করছেন দফতরের অনেকে। পুরো ছবিটা তদন্তের আগে স্পষ্ট হওয়া সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরুও করেছে গলসী থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন: Firecracker: ফিল্মি কায়দায় আলুর বস্তার আড়ালে পাচার নিষিদ্ধ শব্দবাজি! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের