এরশাদ আলম, বীরভূম: দুবরাজপুরে (Dubrajpur) বচসার জেরে ভাইপোকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল কাকার বিরুদ্ধে। ছুরির ঘায়ে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত। অভিযুক্তকে ধরে ফেলে প্রতিবেশীরা গণধোলাই দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় দুবরাজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্তের পরিবার।
সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে মনোমালিন্য! রাগের বশে ভাইপোকে ছুরির কোপ বসাল কাকা! বীরভূমের দুবরাজপুরে পারিবারিক অশান্তির জেরে ঘটে গেল রক্তারক্তি কাণ্ড। কাকার আক্রমণে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ভাইপো। হামলার পর অভিযুক্ত কাকাকে পাকড়াও করে গণধোলাই দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
পরিবার সূত্রে খবর, আক্রান্ত শেখ শাহদাতের মাকে মাসখানেক আগে বিয়ে করেন কাকা শেখ সুকুর। তারপর থেকেই ভাইপো তথা সৎ ছেলের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল অভিযুক্তের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই রাগেই বৃহস্পতিবার ভাইপো শেখ শাহদাতের ওপর ছুরি নিয়ে চড়াও হন অভিযুক্ত শেখ সুকুর।
প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য
প্রত্যক্ষদর্শী সাজেমা বিবি জানিয়েছেন, ''হঠাৎ চিৎকার শুনে উঠি। দেখি সুকুর শাহদাতকে মারছে। আমরা ভীষণ আতঙ্কিত হয় গিয়েছি।" আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত শেখ শাহদাত। অভিযুক্ত শেখ সুকুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
দুবরাজপুর থানা সূত্রে খবর, শেখ সুকুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আহতের পরিবার। প্রতিবেশীদের গণধোলাইয়ে আহত শেখ সুকুরকে ভর্তি করা হয়েছে দুবরাজপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
মানসিক হতাশায় ভুগছিল সুশান্ত
ফেসবুক পোস্ট কিংবা ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের স্টেটাস! বহরমপুরে ছাত্রী খুনে ধৃত সুশান্ত চৌধুরীর বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলের ছত্রে ছত্রে মানসিক হতাশার ছাপ।
২০২১-এর ১৩ জুন সুশান্ত ফেসবুক পোস্টে লেখেন, একদিন তো সবাইকে মরতে হবে। কেউ আগে মরে, কেউ পরে মরে। কোনও পোস্টে সুশান্ত লিখেছে, আজকাল মেয়েদের বিশ্বাস না করাই ভাল! মার্চের ২৫ তারিখ ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেন সুশান্ত! যার বয়ানের ছত্রে ছত্রেও ছিল আক্ষেপ।