আবীর ইসলাম ও নান্টু পাল, বীরভূম: বীরভূমে (Birbhum) বিজেপিতে (BJP) ফের ভাঙন। খয়রাশোল ও রামপুরহাটের (Khoyrasol, Rampurhat) গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা যোগ দিলেন তৃণমূলে (TMC)। শাসকদলের দাবি, উন্নয়নের শরিক হতেই দল বদলেছেন তাঁরা। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।


নতুন কমিটি নিয়ে বিদ্রোহের আবহেই বীরভূমে আরও ভাঙল বিজেপি। পরপর দু’দিন খয়রাশোল ও রামপুরহাটে গেরুয়া শিবির থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন বহু নেতা-কর্মী।


শনিবার সন্ধেয় খয়রাশোল ব্লকের বিজেপির এ মণ্ডলের সভাপতি নীলমাধব চৌধুরী, ব্লক কিষাণ মোর্চার সভাপতি বাবুলাল বাগদি-সহ একাধিক নেতা-কর্মী দলবদল করলেন।


বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে শিবির পাল্টালেন তাঁরা। শাসক দলের দাবি, গেরুয়া ব্রিগেডের প্রায় আড়াই হাজার নেতা-কর্মী তাদের দলে এসেছেন।


তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি নেতা নীলমাধব চৌধুরী বলেছেন, রাজ্যের উন্নয়নে সামিল হতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। অনুব্রত বলেছেন, বিরোধী তো কিছু নেই, সাজিয়ে-গুছিয়ে পুরভোট করব।


যদিও জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, দলত্যাগীরা কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িত। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন,  তৃণমূলে যোগদানকারীরা অনেক আগেই বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত, দল বিরোধী কাজ করার জন্যই আগে থেকে বাদ দিয়েছিলাম, যারা তৃণমূলে যোগদান করলো, এরা সবাই কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত।


খয়রাশোলের রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার সকালে ফের পদ্ম-শিবিরে ভাঙন ধরল।পুরভোটের আগে রামপুরহাটে শহরের ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রায় ১০০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন।এর আগে গত রবিবার দুবরাজপুর ও বোলপুরেও একাধিক বিজেপিতে নেতা তৃণমূলে নাম যোগ দেন। বিজেপির যুব মোর্চার রামপুরহাট শহরের সহ সভাপতি নিত্য কালি মন্ডল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন রামপুরহাট বিধানসভার বিধায়ক আশিষ বন্দোপাধ্যায়। দলীয় কার্যালয়ে যোগদানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্রাচার্য, রামপুরহাট শহরে তৃণমূলের সভাপতি সোমেন ভকত সহ নেতৃত্ববৃন্দ।