মহম্মদবাজার (বীরভূম) : দিল্লিতে ইডি-র (Enforcement Directorate) জিজ্ঞাসাবাদের পরেই, পুরনো খুনের মামলায় অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ পাথর ব্যবসায়ী (Businessman) টুলু মণ্ডলকে গ্রেফতার করল মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। ধৃতকে ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গরুপাচার মামলায় এর আগে শুক্রবার টুলু মণ্ডলকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।


বীরভূমে (Birbhum) ফিরতেই পুরনো খুনের মামলায় টুলুকে গ্রেফতার করে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। গরুপাচার মামলায় গত অগাস্ট মাসে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের তিনটি বাড়ি এবং অফিস ও পেট্রোল পাম্পে তল্লাশি চালায় CBI।


এক মাস তিন দিন আগে মহম্মদবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। টুলু মণ্ডলের বিরুদ্ধে মারধর, খুনের চেষ্টা, অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যুর পর খুনের ধারা যুক্ত হয়। এক মাস তিন দিন পর টুলু মণ্ডলকে (Tulu Mondal) গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। এদিকে টুলু মণ্ডলকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর ইডি সূত্রে।


কী বলছেন বিরোধীরা ?


এদিকে ঘটনার এতদিন পর পুলিশের সক্রিয়তা নিয় সরব বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "রাজ্য পুলিশ কিছুই করত না। দেখা যাচ্ছে, সিবিআই-ইডি আসায় রাজ্য পুলিশ সক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। পুরনো একটা খুনের মামলা, টুলু মণ্ডলকে ধরার চেষ্টা করেনি। কারণ, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে আছেন। এখন ইডি-সিবিআই ধরছে। সব খবর এমনিতেই বেরিয়ে গেছে। সব খবর আরও বেরিয়ে যাবে। অনুব্রতর হালহকিকত বেরিয়ে যাবে। অনুব্রতকে কেন হঠাৎ নবান্নের মালকিন বীর বলেছিলেন, তারও আসলটা বেরিয়ে যাবে। সেভ করার চেষ্টা। নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা। সিবিআই বা ইডি-র থেকে আড়াল রাখার চেষ্টা করা। যদি খানিকটা ঠেকিয়ে রাখা যায় ! রাজ্য পুলিশের এখন কাজ হয়েছে, যেন অপরাধী অন্য কারও হাতে পড়ে গিয়ে সব না স্বীকার করে ফেলে, সেটার বন্দোবস্ত করা। ওইজন্য পুরনো একটা মামলা পেয়েছে। এনিয়ে খুব লাফাবে বলে মনে হয় না।"


অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, "কেষ্ট মুখ খুললে তৃণমূল পার্টির ঢোল ফেটে যাবে। তাই কেষ্টকে বাঁচাতে তৃণমূল সরকার সর্বস্ব পণ করে ময়দানে নেমেছে। এই গ্রেফতারি তার একটা দিক মাত্র।"  


আরও পড়ুন ; বীরভূমের বাঘ বেরিয়ে আসার অপেক্ষা, শিয়ালরা সব খাঁচায় ঢুকে যাবে, অনুব্রতর গড়ে বললেন ফিরহাদ