গোপাল চট্টোপাধ্যায়, নানুর (বীরভূম) : ফের বিজেপিতে ভাঙন। এবার বীরভূমের নানুরে। আজ নানুরের বড়া সাঁওতা অঞ্চলে প্রায় ৭০০ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বিকালে নানুরের বড়াগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ ও নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি। 


আজ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন নানুর ব্লক বিজেপির সহ-সভাপতি গণেশ সাহা। এ ছাড়াও রয়েছেন বেশ কয়েকজন বুথ সভাপতিও। প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করেছিল। দলত্যাগী নানুর ব্লক বিজেপির সহ-সভাপতির বক্তব্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে এলাকায় তারা জয়লাভ করলেও, বিজেপি নেতৃত্বের কাছে তেমন কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তাঁরা আজ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।


দলত্যাগীদের হাতে তৃণমূল পতাকা তুলে দেওয়ার পরে অভিজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, যাঁরা আজ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন, তাঁদের উপযুক্ত মর্যাদা দিয়ে ও দলের নীতি আদর্শ মেনে কাজে লাগানো হবে।


প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির 'রক্তক্ষরণ' অব্যাহত। সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। "সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের" জন্য সৌমেনবাবুকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তার দিনকয়েক আগে তৃণমূলে ফেরেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। তার আগে তৃণমূলে ফেরেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। পাঁচ মাসের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তৃণমূলে থাকাকালীন বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন তন্ময়। তৃণমূলের বিষ্ণুপুর শহর সভাপতির দায়িত্বও ছিল তাঁর উপর। বিধানসভা ভোটের আগে, মার্চ মাসে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তন্ময় ঘোষ। যোগদানের পরের দিনই, তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। ভোটে জিতেও যান তিনি।