এরশাদ আলম, বীরভূম: বিজেপিতে (BJP) একের পর এক ভাঙন। দুধকুমার মণ্ডলের ফেসবুক পোস্টের পর আর এক বিজেপি নেতা ফেসবুকে পোস্ট করে শহর সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। আর বিজেপি নেতার ইস্তফাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 


বিজেপি নেতার ইস্তফা-


গতকাল নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপির শহর সভাপতি করুণাময় মুখোপাধ্যায় (Karunamoy Mukherjee) জানিয়ে দেন যে, তিনি তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। যদিও কারণ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতা এবং ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি দল ছাড়েননি, ব্যক্তিগত এবং শারীরিক কারণে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু তাতে চুপ করে থাকেনি শাসকদল (TMC)। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতার ইস্তফাকে কেন্দ্র করে নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'গতকালই দুবরাজপুর শহরের বিজেপি সভাপতির ফেসবুক পোস্ট দেখলাম। বেশ কিছুদিন আগে দুধকুমার মণ্ডল এমনই একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন। তাঁর পোস্টে দলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ ছিল। আমার মনে হয় এক এক করে বিজেপির সব নেতারাই এরকম করবেন। বিজেপির এখানে কোনও সংগঠন নেই। আগামীদিনে বিজেপি এভাবেই শেষ হয়ে যাবে।'


আরও পড়ুন - Birbhum News: বিষ খেয়ে বাবা-মা-ছেলের আত্মহত্যা, পাওয়া গিয়েছে সুইসাইড নোট


করুণাময় মুখোপাধ্যায়ের শহর সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পোস্টকে কেন্দ্র করে দুবরাজপুরেরই এক বিজেপি কর্মী কল্যাণ নায়েক বলেন, 'গতকাল ওঁর ফেসবুক পোস্ট আমরা দেখেছি। আমাদের সকলের সম্মতিতেই ওঁকে শহরের সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যক্তিগত কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন। আমরা সাধারণ কর্মী হিসেবে ওঁর সেই কারণ জানব। এবং তাঁর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। এই পোস্টের সঙ্গে দুধকুমার মণ্ডলের পোস্টের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা জানি না। কিন্তু এইরকম পোস্টের ফলে সাধারণ কর্মীদের মনোবল ভাঙছে।'


বিজেপির দুবরাজপুর বিধানসভার আহ্বায়ক সুকুমার নন্দী বলেন, 'এগুলো মন কষাকষির ফল। বিজেপি বড় একটা দল। কেউ মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন, এটা হতেই পারে। তাই কোনও-কোনও ব্যক্তি এভাবে তাঁদের ব্যক্তিগত মত জানাচ্ছেন। কিন্তু এগুলো ঠিক কাজ হচ্ছে না। যদিও করুণাময় মুখোপাধ্যায়ের পদত্যাগ এখনও জেলা বিজেপি গ্রহণ করেনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব।'