এরশাদ আলম, রামপুরহাট: বগটুইকাণ্ডে (Bagtui) এবার আরও এক মোড়। পরিবারের সদস্যের মৃত্যু হলেও মেলেনি ক্ষতিপূরণের টাকা। এমনটাই অভিযোগ মৃত মার্জিনা বিবির শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের। জেলা প্রশাসনের (District Administration) দ্বারস্থ পরিবার।
বগটুইকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ: বগটুইকাণ্ডে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল নানুরের দান্যপাড়া গ্রামের সাজিদুল রহমান ও তার স্ত্রী মার্জিনা বিবির। এই ঘটনার পর মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। কিন্তু ক্ষতিপূরণের টাকা ও চাকরি পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ মার্জিনা বিবির শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের। মার্জিনার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, সাজিদুল রহমানের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ ও চাকরি পাওয়া গেলেও মার্জিনা বিবি মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের চেক ও চাকরি তাঁরা পাননি। এই অভিযোগ জানিয়ে জেলশাসকের দ্বারস্থ হল পরিবার। সিউড়িতে জেলাশাসকের দফতরে আসেন মার্জিনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যদিও এনিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
এদিকে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে হাইকোর্টে নতুন মামলা হল । রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য ও চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হল আদালতে। ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের হলফনামা চাইল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের বগটুই গ্রামে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৯ জনের। নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর, ২৪ মার্চ বগটুই গ্রামে গিয়ে আর্থিক সাহায্য ও চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ১০ জনকে ১টি করে চাকরি দেব। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দিলাম। ১ লক্ষ টাকা বাড়ি মেরামতের জন্য। ঠিক আছে কার্পণ্য করবেন না, আরও ১ লক্ষ বাড়িয়ে দিন। এই নিন চেক এনেছি আপনাদের জন্য। আপনি সবাইকে বিলি করে দেবেন। তাঁর এই ঘোষণার প্রেক্ষিতেই, সোমবার হাইকোর্টে মামলা করলেন এক আইনজীবী। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ওই আইনজীবী অভিযোগ করেন, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য সরকার সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। এরপরই এবিষয়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারের হলফনামা চাইল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ২৬ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন: Ashok Dinda : বিজেপি বিধায়কদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা ! বিদ্রোহ?
আরও পড়ুন: