বিটন চক্রবর্তী, খড়গপুর  : বিজেপির (BJP ) অন্দরের ক্ষোভ ক্রমেই বাইরে এসে পড়ছে। প্রকাশ্যে চলে আসছে এক নেতার সঙ্গে অন্যের মত পার্থক্য। এরই মধ্যে  বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা পদাধিকারীদের  হোয়াটস্ অ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও জেলা বিজেপির সহ সভাপতি সাহেব দাস। এই ঘটনার মধ্যে আরও এক খবর শোরগোল ফেলেছে। 


বিজেপি বিধায়কদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা (Ashoke Dinda) । এ প্রসঙ্গে ময়নার বিজেপি বিধায়ক জানান, তিনি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন, তা ঠিক। তবে কেন ছেড়েছেন, তা তিনি জানাতে রাজি নন। অশোক দিন্দা জানান, বিধায়কদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার পর তাঁর সঙ্গে দলের নেতারা যোগাযোগ করেছিলেন। আলোচনাও হয়েছে। তবে কী নিয়ে কথা হয়েছে, তাও তিনি জানাতে রাজি নন।   


 হিরণ চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর থেকে শুরু করে একাধিক নেতা–নেত্রী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন। এবার সেই দলে নাম এন অশোক দিন্দাও। তবে কি তিনি কোনও অসন্তাষ থেকে গ্রুপ ছাড়লেন ? এখনই এই বিষয়ে মুখ খুললেন না তিনি। শুধু বললেন ঠিক সময়ে জানাবেন। দসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে। 

আরও পড়ুন :


 ' কাজ করতে করতেই অভিজ্ঞতা বাড়ে ' , বিতর্কে জল ঢালার চেষ্টা দিলীপের?


 ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, একই দিনে রাজনীতির মাঠে পা রাখলেন ক্রিকেট মাঠের দুই পরিচিত মুখ। মনোজ তিওয়ারি এবং অশোক দিন্দা। প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি যোগ দেন তৃণমূলে। আর অশোক দিন্দা যোগ দিলেন বিজেপিতে। 
ব্যাটসম্যান মনোজ এবং বোলার দিন্দা দু’জনই দীর্ঘদিন খেলেছেন বাংলার হয়ে।  বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে তাঁরা রাজনীতির ইনিংস শুরু করেন প্রতিপক্ষ হিসেবে। তারপর বিধানসভা নির্বাচনে পদ্মশিবিরকে জয়ও এনে দেন দিন্দা। 


অন্যদিকে সোমবারই জানা যায়, বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা পদাধিকারীদের  হোয়াটস্ অ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও জেলা বিজেপির সহ সভাপতি সাহেব দাস। সাহেব জেলার রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। যদিও সাহেব দাসের দাবি, গতকাল তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে তাঁর মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। নতুন মোবাইল ফোনে হোয়াটস অ্যাপ সেট করতে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটে। শুভেন্দু অধিকারীর গ্রুপ ছাড়ার বিষয়টি নন্দীগ্রামের বিধায়কই ভাল বলতে পারবেন বলে দাবি বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতির।