গোপাল চট্টোপাধ্যায়, দুবরাজপুর: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র দুবরাজপুর (Dubrajpur)। দফায় দফায় গুলি-বোমা। ১০০দিনের কাজে (100 Days Work) দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বীরভূমের দুবরাজপুরে দুটি গোষ্ঠীর (Clash) মধ্যে সংঘর্ষ। বোমাবাজিতে উত্তপ্ত এলাকা, বেশ কয়েকজন আহত। উদ্ধার দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, গ্রেফতার ৮ (Arrest 8)। ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ পর্যবেক্ষণ করতে গেলে উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর ব্লকের একটি প্রতিনিধি দল পর্যবেক্ষণে গেলে উত্তেজনা হয়।
মুহুর্মুহু বোমাবাজি। কান ফাটানো আওয়াজ। বোমার ধোঁয়ায় ঢেলে যায় গোটা এলাকা। চলে গুলিও। পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। লাঠি-বাঁশ নিয়ে হামলা। রক্তারক্তিকাণ্ড। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে, এভাবেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বীরভূমের দুবরাজপুর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজ পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল এলাকা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, মঙ্গলবার গ্রামে যান প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেই সময়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা। ব্যাপক বোমাবাজি হয়। চলে গুলি। ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। তাঁদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে (Suri Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়।
এলাকায় তীব্র উত্তেজনা রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে বীরভূমের পুলিশ সুপার (Birbhum Police Super) নগেন্দ্র ত্রিপাঠি বলেন, “জমি নিয়ে সমস্যা। পুলিশ পিকেট আছে। দুটো অস্ত্র, বাড়ি সার্চ করে গুলি উদ্ধার হয়েছে।’’ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) মামলায় আরও গ্রেফতার। বীরভূমের (Birbhum) কাঁকড়তলায় বিজেপি (BJP) নেতা খুনে গ্রেফতার আরও ৩ অভিযুক্ত। বিজেপি নেতা মিঠুন বাগদী খুনে গ্রেফতার আরও ৩ অভিযুক্ত। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার ৩ অভিযুক্ত।