আবির দত্ত ও পরিতোষ দাস, বীরভূম: চোর অপবাদে, মা ও স্ত্রীর সামনেই যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল বীরভূমের (Birbhum) নানুরের সাঁতরা গ্রামে। মৃতের নাম বশির শেখ। পরিবারের দাবি, আগে তৃণমূল করলেও, বর্তমানে শাসকদলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। অভিযোগ, তারপরই মাদক-মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই যুবককে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ: গতকাল ফোন করে ডেকে পাঠিয়ে, চোর অপবাদ দিয়ে পরিবারের সামনেই ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলকোট হাসপাতালে (Mangalkot Hospital) নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতের পরিবার বর্তমানে তৃণমূল-যোগ অস্বীকার করলেও, বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কেরিম খানের দাবি, মৃত যুবক তৃণমূল করতেন।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? গতকাল রাতে নানুরের সাঁতরা গ্রামের মাঠ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বশির শেখকে পাওয়া যায়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান চোর সন্দেহেই তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সঙ্গে যুক্ত ছিল বশির শেখ। গত ২ বছর ধরে দলের সঙ্গে যোগ ছিল না। তাঁকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। গ্রাম ছাড়া করা হয় বলেও দাবি পরিবারের। পরিবারের অভিযোগ, ভয় দেখানো পরে তাঁকে মারধর করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা কেরিম খান বলেন, পিটিয়ে দেওয়ার ঘটনা সত্যি হলে, তা মোটেই উচিত হয়নি। এখনও তৃণমূল কর্মী বলেই দাবি দলের তরফে।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) কড়ক শচীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) কারচুপির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে (Principal) শোকজের নির্দেশ ঘিরে গন্ডগোলের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অস্ত্রসমেত হিংসা ছড়ানো-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই মিড ডে মিলে কারচুপির অভিযোগ উঠছিল কড়ক শচীন্দ্র স্মৃতি বিদ্যালয়ে। ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে শোকজের নির্দেশ ঘিরে গতকাল ধুন্ধুমার বাধে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিক্ষোভকারীরা, এক এনভিএফ কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Paschim Medinipur: পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার, নাম আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতির তালিকায়, সরব বিরোধীরা