আবির ইসলাম, ইলামবাজার: বাঁধ (Dam Broken) থেকে জল ছাড়াই বিপত্তি। ভাঙল অজয়ের পারে (Ajay River) অস্থায়ী ফেরিঘাটের রাস্তা। আর তার জেরেই বন্ধ দুই জেলার যোগাযোগের পথ।
বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় ভাঙল রাস্তা: ভাঙন আতঙ্ক আগে থেকেই ছিল। তার মধ্যেই চলছিল প্রাণ হাতে করে ঝুঁকির যাতায়াত। সেই আশঙ্কা সত্যি হল এদিন। ভাঙল ইলামবাজারের (Ilambazar) জয়দেবের ফেরিঘাটের রাস্তা। এদিন বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় জলের তোড়ে ভেঙে গেল অজয়ের ফেরিঘাটের অস্থায়ী রাস্তা। বন্ধ করে দেওয়া হল দুই জেলার যাতায়াতের পথ। আর এই রাস্তা বন্ধের জেরেই সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার ঘুরপাক করতে হচ্ছে দুই জেলার মানুষকে।
কী সিদ্ধান্ত প্রশাসনের? এদিন সকাল থেকেই চলছে প্রশাসনের নজরদারি। প্রশাসনের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আপাতত কোনওরকম যাতায়াত করা যাবে না। বড় কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তাই এই সিদ্ধান্ত। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। হয়রানি কমাতে নদীতে নামানো হচ্ছে নৌকা। অজয়ের জল বাড়লে প্রতিবছর এই সমস্যা সম্মুখীন হন দুই জেলার বহু মানুষ। বছরের পর বছর একই রকম ঘটনা ঘটতে থাকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। যদিও পাশেই পাকাপোক্তভাবে তৈরি হচ্ছে নতুন সেতু।
মানিকচকের ভূতনির চরে ভাঙন অব্যাহত। গঙ্গায় ভেসে গেল, বাঁধের একাংশ, একাধিক বাড়ি। আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন নদীপারের বাসিন্দারা। অন্যদিকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ভাসল রাস্তা। ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। মালদার ভূতনির চর থেকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, ভাঙনে জেরবার নদী পারের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাতে মানিকচকের কালুটনে, গঙ্গায় তলিয়ে যায় বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ। আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা। মানিকচকের কালুটন এলাকার বাসিন্দার কথায়, “রাত থেকে ভাঙন শুরু। মুহূর্তের মধ্যে ৪টে বাড়ি তলিয়ে যায়। কোনও জিনিস নিয়ে যেতে পারিনি।’’ ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মানিকচকে ভাঙন ঠেকাতে বস্তার ভিতরে বালির বদলে বস্তা ভরে রাখা হয়েছে। আর এর জন্যই ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
অন্যদিকে, কোশি নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে রতুয়ার বিলাইমারি এবং মহানন্দা টোলা এলাকায়। কয়েকদিন ধরেই গঙ্গার জল বাড়তে বাড়তে হু হু করে ঢুকে পড়েছে অপেক্ষাকৃত শীর্ণ কোশিতে। ফলে ফুলে ফেঁপে উঠছে নদী। চরম আতঙ্কে নদীপাড়ের গ্রামগুলির মানুষজন এলাকাবাসীরা জানালেন, প্রতিবছর কোশি ফুলেফেঁপে ওঠে ঠিকই, তবে এই নদী এমন ভয়াল রূপ ধরে না।