পরিতোষ দাস, নানুর: নানুরে (Nanur) বিজেপি নেতার (BJP Leader) বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতার দাবি, তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। যদিও নানুর ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতির দাবি, বিষয়টি সম্পর্কে তাঁদের কিছু জানা নেই। বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ: মাঝরাতে বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব। খুনের হুমকির মুখে কোনওমতে বাড়ির পাঁচিল টপকে পালিয়ে প্রাণরক্ষা। এমনই অভিযোগ করলেন বীরভূমের (Birbhum) বিজেপি জেলা কমিটির সদস্য তারক সাহা। বিজেপি নেতার দাবি, বুধবার সিউড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মিছিলে যোগ দেন তিনি। অভিযোগ, ফেরার পর রাত দেড়টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে আচমকাই ঢুকে পড়ে তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী। কোনওরকমে তিনি পাঁচিল টপকে পালিয়ে যান। বিজেপি নেতার আরও দাবি, তাঁকে খুনের হুমকির পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে নানুরে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন তারক সাহা। যদিও, হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এই ঘটনায় কীর্ণাহার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা।
এদিকেরামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এবার গোয়েন্দাদের জালে রিটন শেখ নামে এক টোটোচালক। তাঁর টোটো করেই গ্রামে পেট্রোল নিয়ে যাওয়া হয় বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। ২১ মার্চ রাতে তৃণমূলের উপপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। তারপর বগটুই গ্রামের পূর্ব পাড়ায় পরপর বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। পুড়ে মৃত্যু হয় শিশু-মহিলা সহ ৯ জনের। তার মধ্যে নাজিমা বিবি নামে এই মহিলা, মৃত্যুর আগে এবিপি আনন্দকে দেওয়া শেষ বয়ানে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানো হয়েছিল। কিছুদিন পর আরেক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, ঘটনার দিন ২টি টোটো ও একটি বাইকে করে পেট্রোল ও বোমা এনে হামলা চালানো হয়।
ভাদু শেখ খুন এবং আগুন লাগিয়ে হত্যার তদন্তে নেমে এই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করে সিবিআই। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই টোটোচালক রিটন শেখের হদিশ মেলে। কয়েকজন গ্রামবাসী তাঁকে সনাক্তও করেন। এরপর বুধবার রাতে টোটোচালক রিটন শেখকে বগটুই থেকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, রিটনের টোটো করেই পাম্প থেকে পেট্রোল গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।