বীরভূম: বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারে শ্যুটআউট। পাথর খাদানের কর্মীকে গুলি করে খুন (Murder Case)। গুলিবিদ্ধ প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক। (Seriously Injured) গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি সিউড়ি সদর হাসপাতালে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশের তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাত ৮টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। পাথর খাদানের শ্রমিক ধানু শেখ এবং ওই শিক্ষক ধনা হাঁসদা একই জায়গায় বসে ছিলেন। সেই সময় একজন সাইকেলে এসে খুব কাছ থেকে পরপর গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় খাদান শ্রমিকের। প্রাথমিক শিক্ষককে সিউড়ির সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পিছনে পাথর খাদান নিয়ে গোলমাল, নাকি পারিবারিক বিবাদ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) অশোকনগরে মেস থেকে নার্সিং পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের (Dead Body Rescue) ঘটনায় তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গলা ও শরীরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন মিলেছে। ঘটনার পর থেকেই নিহত পড়ুয়ার রুমমেটের খোঁজ নেই। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। মেসের ঘরে খুন ১৯ বছরের নার্সিং পড়ুয়া। খাটের নীচ থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। গলা ও শরীরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। ১৯ বছরের নার্সিং পড়ুয়া উদ্ধব সরকার পড়তেন অশোকনগর নার্সিং ট্রেনিং কলেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকনগর থানা এলাকার কচুয়ায় এই বাড়িতে মেস করে থাকতেন নিহত পড়ুয়া উদ্ধব সহ ৪ জন। ৪ জনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। ২ জন বাড়ি চলে যান। মেসে ছিলেন উদ্ধব ও বিক্রম সরকার।  স্থানীয় সূত্রে দাবি,  বিক্রমকে মেসে তালা দিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। ঘটনার কথা জানাজানি হল কীভাবে ? 


আরও পড়ুন, বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলাকাণ্ডে গ্রেফতার ১৩ জন তৃণমূল কর্মী


 স্থানীয় সূত্রে খবর, উদ্ধবের বাড়ির লোকজন তাঁকে ফোন করে পাননি। মোবাইল ফোন সুইচড অফ ছিল। তাঁরাই খবর দেন মেসের মালিককে। মেস মালিক পুলিশকে খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে খাটের নীচ থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। মেসের মালিকের দাবি, পড়ুয়াদের ব্যবহারের জন্য তিনি যে রেফ্রিজারেটর রেখেছিলেন, তার মধ্যে তাঁর একটি ছুরি ছিল। ঘটনার পর থেকে সেই ছুরি উধাও। ঘটনাস্থলে যান অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই নিহতের রুমমেট বিক্রমের খোঁজ নেই। নার্সিং পড়ুয়া খুনের ঘটনায় তাঁর দিকেই সন্দেহের তীর। খুনের মোটিভ সেই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। এরপরেই বিক্রমের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালায় পুলিশ।