বীরভূম : বীরভূমে ফের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে' খুন তৃণমূল নেতা ! নানুরের থুপসরায় তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে।নিহত রাজবিহারী সর্দার পাতিসরার বুথ সভাপতি।
আরও পড়ুন, SIR-এর পর খসড়া তালিকায় পশ্চিমবঙ্গে বাদ পড়তে পারে ৫৫ লক্ষেরও বেশি নাম !
ঠিক কী হয়েছিল ?
স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এলাকা দখল ঘিরেই তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর কোন্দল বাধে। গতকাল একটি অনুষ্ঠান ঘিরে চরমে ওঠে দু'পক্ষের বিবাদ। তারপরেই দফায় দফায় তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। বুথ সভাপতি রাজবিহারী সর্দারকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে খবর।
তৃণমূল কর্মীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে তৃণমূল কর্মীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, বাড়ির অদূরে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছিল তাঁকে। তৃণমূলের অভিযোগ, হামলা চালিয়েছিল কংগ্রেস। যদিও তা মানতে নারাজ ছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও পুলিশের দাবি ছিল, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। গতমাসে ৩ দিনে রাজ্যের তিন প্রান্তে তৃণমূল নেতা কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটল! কোথাও খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী! কোথাও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধান!
আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে শুরু হয়েছে রাজনীতি বহরমপুরে বাড়ির সামনেই নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল এক তৃণমূল কর্মীকে। নিহত তৃণমূলকর্মীর নাম হায়াতুল্লা শেখ। বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে, রাজ্যে একের পর এক দুষকৃতী হামলা আর খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে শুরু হয়েছে রাজনীতি। ঘড়িতে তখন প্রায় রাত পৌনে আটটা। বহরমপুর জলঙ্গি রাজ্য় সড়কের ওপর, নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল, তৃণমূলকর্মী হায়াতুল্লা শেখকে। নিহত তৃণমূল কর্মীর জামাইবাবু, আয়াজুদ্দিন শেখ, তৃণমূলের নেতা এবং বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন।
তৃণমূল কর্মীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির অদূরে, স্থানীয় এক হাতুড়ে তুরাপ শেখের কাছে গেছিলেন তৃণমূল কর্মী হায়াতুল্লা শেখ।সেখানে ২ জনের মধ্য়ে পুরনো বিবাদ ঘিরে ব্য়াপক বচসা হয়। অভিযোগ, এর পর সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময়ই তৃণমূল কর্মীকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন। এরপর মুর্শিদাবাদ মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৃণমূল কর্মীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।