এরশাদ আলম, সিউড়ি: বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি হেড পোস্ট অফিসে (Suri Head Post Office) প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ সম্মেলনের ভার্চুয়াল সম্প্রচারে উত্তেজনা। সম্প্রচারের শুধু কেন পোস্ট অফিসে বিজেপি নেতারা? এই অভিযোগে অনুষ্ঠানের মাঝ পথে ঢুকে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়।


ভার্চুয়াল সম্প্রচারে উত্তেজনা: কেন্দ্রীয় সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তিতে মঙ্গলবার হিমাচলপ্রদেশের সিমলায়, গরিব কল্যাণ সম্মেলনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তা ভার্চুয়াল দেখানোর ব্যবস্থা করা হয় বীরভূমের সিউড়ি হেড পোস্ট অফিসে। পোস্ট অফিসে অনুগামীদের নিয়ে হাজির হয়ে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনছিলেন বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। সম্প্রচার চলাকালীন, আচমকা দলবল নিয়ে পোস্ট অফিসে ঢুকে পড়েন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র জেলা সহ সভাপতি। সরকারি অনুষ্ঠানে গৈরিকীকরণের অভিযোগ তুলে, বিজেপি জেলা সভাপতির সঙ্গে বচসায় জড়ান তৃণমূল নেতারা। স্লোগান তোলেন তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা।


তৃণমূল নেতাদের আপত্তিতে পোস্ট অফিসে বন্ধ হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সম্প্রচার। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “৮ বছরের কর্মসূচি হচ্ছে। আমি পোস্টে অফিসে বসে দেখছিলাম। সেই সময় তৃণমূলের কয়েকজন এসে চিৎকার করে।’’ বীরভূমের আইএনটিটিইউসির সহ-সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বলেন, “যেন মনে হচ্ছে বিজেপির কর্মিসভা। কোনও সরকারি কর্মী নেই। এসে বলি এটা সরকারি অনুষ্ঠান, কেন শুধু বিজেপি কর্মী থাকবেন। অনুরোধ করি আপনারা বেরিয়ে যান।’’


যদিও জেলা ডাক বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি অনুষ্ঠানে কোনও দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সুপারিনটেনডেন্ট অফ পোস্ট অফিস মৃগাঙ্ক মাইতির কথায়, “রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। গ্রাহকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি পাবলিকের সঙ্গে এসেছিলেন। আমি আপনাদের কাছ থেকে বিষয়টি জানলাম।’’ পোস্ট অফিসের মধ্যে দুই শিবিরের মধ্যে তুমুল বচসা চললেও, পরে অফিসের বাইরে গিয়ে একসঙ্গে চা খান বিজেপি ও তৃণমূল নেতারা।


আরও পড়ুন: Purba Medinipore: 'বন্যা আটকানোর সম্ভাবনা নেই,' কেলেঘাই নদীর বাঁধ নির্মাণে গাফিলতির অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের