এরসাদ আলম, বীরভূম: ময়ূরেশ্বরে পেট্রোল পাম্পের মালিককে গুলি করে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পেট্রোল পাম্প থেকে সাঁইথিয়ার বাড়িতে ফিরছিলেন পাম্প মালিক কমলকান্তি দে। ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার সারদা মোড় এলাকায় তাঁকে কয়েকজন দুষ্কৃতী পিছন থেকে গুলি করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ উদ্ধার করে সাইঁথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কী কারণে খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ ওঠে গতকাল। কাজের তাগিদে বাড়ির বাইরে স্বামী-ছেলে। আর তাঁদের সঙ্গে দেখা হল না এক মহিলার। বরং বাড়ির মধ্যে থেকে উদ্ধার হল তাঁর ক্ষত বিক্ষত দেহ (Dead Body Recovered)। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে খুন (Stabbed to Death) করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর অুমান পুলিশের। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মালদা (Malda News) জেলার মানিকচক (Manikchak News) থানার অন্তর্গত শেখপুরা পূর্ব পাড়া এলাকার ঘটনা। মৃত মহিলার নাম বেবি বিবি। রবিবার সকালে বাড়ির মধ্যে থেকে তাঁর ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী শেখ সাজুদ পেশায় শ্রমিক। ভিন্ রাজ্যে কর্মরত তিনি।ছেলে মহম্মদ রফিকুল ইসলাম পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার রাতে দু’জনের কেউই বাড়িতে ছিলেন না। তখনই ওই মহিলাকে খুন (Alleged Murder) করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ দানা বাধছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে মানিকচক থানায় কর্মরত অবস্থায় ছিলেন রফিকুল। তাঁর বাবাও বাইরে। তাই একাই বাড়িতে ছিলেন বেবি। বরাবরই এ ভাবেই চলে তাঁদের জীবন। কিন্তু রবিবার সকালে বাড়ি ফিরে মায়ের সাড়াশব্দ পাননি রফিকুল।
তাতে কৌতূহলী হয়ে দরজা ঠেলে ঘরের মধ্যে ডোকেন রফিকুল। তখনই রক্তাক্ত এবং ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় মাকে পড়ে থাকতে দেখেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন রফিকুল।সঙ্গে সঙ্গে পাড়া-প্রতিবেশিদের বিষয়টি জানান রফিকুল। তাতে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন এবং মৃতার পরিবারের দাবি, এলাকাজুড়ে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় চুরির ঘটনা সামনে আসছে। চুরির আগে মহিলা দেখে ফেলাতেই হয়ত দুষ্কৃতীরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে খুন করেছেন। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে, দোষীদের পাকড়াও করার দাবি তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।