ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, রামপুরহাট : বীরভূমের রামপুরহাটে (Rampurhat) গবাদি পশু বোঝাই ৭টি লরি আটক করল পুলিশ। উদ্ধার ১৩৮টি গরু ও মোষ। লরি থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪৮ হাজার টাকা। পুলিশের দাবি, ব্যবসায়ীদের কাছে বৈধ নথিপত্র ছিল না। পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির (Extortion) অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।

গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে উঠে এসেছে বীরভূমের ইলামবাজার ও পাইকর পশুহাটের প্রসঙ্গ। গরু পাচারের তদন্তে মাঝেমধ্যেই বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এসবের মধ্যে বীরভূমেই ফের গরু ও মোষ বোঝাই লরি আটক করল পুলিশ।

কী বলছেন ব্যবসায়ী ?

পুলিশ সূত্রে খবর, রামপুরহাট থেকে দুমকা যাওয়ার রাস্তার ওপর সুরুচুয়া মোড়ে দু’টি লরি আটকানো হয়। যার মধ্যে ছিল মোট ১৩৮টি গরু ও মোষ। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৪৮ হাজার টাকা। যদিও, লরিতে থাকা ব্যবসায়ী পুলিশের বিরুদ্ধেই তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন। ব্যবসায়ী ভগবান রায় বলেন, রাঘবপুর বৈশালী থেকে আসছি। উখড়া যাব। আমাদের দুধের কারবার। পুলিশ সবসময়ই আসে, ২ হাজার, ৩ হাজার টাকা নিয়ে তবে গাড়ি ছাড়ে। এবার ড্রাইভারের কাছে ১০ হাজার টাকা চায়। ড্রাইভার দেয়নি। ওকে মারতে শুরু করে। ড্রাইভার পালিয়ে গেছে। গাড়ি থানায় টেনে এনেছে। রোদে বাচ্চা (মোষের) মরে গেছে। না খেয়ে মরতে বসেছে। ২ টো শাবক মরে গেছে। ৬ ঘণ্টা ধরে গাড়ি দাঁড়িয়ে। আমার কাছে চালান আছে। রসিদ আছে। রসিদ দেখানোর পরও ছাড়ছে না।

দুধ ব্যবসায়ী লালমোহন রায় বলেন, পুলিশ আমাদের ধরল। আমাদের থেকে ৭০ হাজার টাকা চেয়েছিল। ড্রাইভার দেয়নি। সে পালিয়ে গেছে। আমার কাছে সব কাগজ আছে। পয়সার জন্যই আটকেছে। আমি বলেছি ৫-১০ হাজার দেব। গরিব লোক। মজদুরি করি।

এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। বীরভূম সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, পুলিশের যদি টাকা কালেকশন মূল লক্ষ্য হয়, তাহলে মারাত্মক।

বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, চোরের মায়ের বড় কথা। দরকার হলে কোর্টে কাগজ দেখান। বেআইনি হলে আটক হবে।

রামপুরহাট থানার তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, গরু নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈধ রসিদ ছিল না ব্যবসায়ীদের কাছে। তাই গাড়ি আটকানো হয়েছে। বিহার থেকে আসা এক গরু ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন ; আয়-ব্যয়ের হিসেব সংক্রান্ত নথি সিবিআইয়ের কাছে জমা দিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা