গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: রড বোঝাই লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে গেল খাবারের দোকানে। লরির নিচে থেকে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে উদ্ধার করেছে দমকল বাহিনীর কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বীরভূমের রামপুরহাট থানার মাঝখন্ড গ্রামের কাছে। এদিন একটি রড বোঝাই লরি রামপুরহাটের দিকে আসছিল। মাঝখণ্ড গ্রামের কাছে লরিটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে থাকা ট্রাফিক পুলিশের দাঁড়ানো সেটটিকে প্রথমে ধাক্কা মারে, এরপর একটি খাবারে দোকানে ঢুকে যায়। দমকল ও স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে উদ্ধার করে। তাদের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে একজনের মৃত্যু হয়। এলাকার মানুষের অনুমান আরও দু একজন ভিতরে ঢুকে আছে। ঘটনাস্থলে রামপুরহাট থানার পুলিশ।
গত শুক্রবার ভোররাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে লরি দুর্ঘটনা ঘটে। অঘটনের জেরে তৈরি হল বিপত্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোর ৩টে নাগাদ হাওড়াগামী ২টি লরি আচমকাই এসে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। এতে প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডিভাইডার ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা। ২টি লরির চালককেই আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই লরির চালকই দাবি করেছে, হাওড়ার দিকে নামার সময় আচমকা সামনের একটি গাড়ি ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যায়। তখন সামলাতে না পেরে তাঁরা ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন।
দুর্ঘটনার জেরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দু’দিকের লেনেই যান চলাচল কিছুটা ব্যহত হয়েছে। কিছুদিন আগে নবমীর রাতে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঠাকুর দেখে ফেরার পথে, বাইকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটর ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ক্যানিংয়ের গোপালপুরে এই ঘটনা ঘটে। মোটর ভ্যানে চড়ে ঠাকুর দেখে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের ভোলানাথ হালদার। উল্টোদিক থেকে আসা বাইকের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনি। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মোটর ভ্যান চালককে মৃত ঘোষণা করা হয়। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য ক্যানিং থানার পুলিশ নিয়ে যায়। বাইক চালককে আটক করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।