আবির দত্ত, রুমা পাল ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, রামপুরহাট (বীরভূম) : রামপুরহাটের (Rampurhat) বকটুই গ্রামে তৃণমূল (TMC) উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পরই শিশু-মহিলা-সহ ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল মাত্র একঘণ্টা। ফলে তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তরাই নৃশংস হত্যালীলার সঙ্গে জড়িত কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Police)। 


কে এই ভাদু শেখ


নিহত তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের রাজনৈতিক উত্থান ছিল নজরকাড়া। ভাদুকে প্রথমে লোকে চিনত থানার গাড়িচালক হিসেবে। সেখান থেকে থানার ডাক মাস্টার হন ভাদু। ১০ বছর আগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার পর ৫ বছর আগে ভাদুকে উপপ্রধান করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাদু শেখ খুনে অভিযুক্ত সোনা শেখ, পলাশ শেখ, নিউটন শেখরা একসময় তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এদের বিরুদ্ধেই গত জানুয়ারি মাসে ভাদুর দাদা বাবর শেখকে খুনের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বালি খাদান নিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। তার জেরেই খুন হন ভাদু শেখ। 


রামপুরহাট মনে করাচ্ছে সুচপুর, ছোট আঙারিয়া


রামপুরহাটের গণহত্যা মনে করিয়ে দিয়েছে, সুচপুর এবং ছোট আঙারিয়ার ঘটনা। দু’দশক আগে সেই সব ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এখন রামপুরহাটের ঘটনা ঘিরেও তোলপাড় পড়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে। 


২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের ছোট আঙারিয়া গ্রামে তৃণমূলকর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে, গুলি করে, পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। রাজ্যে তখন ক্ষমতায় সিপিএম সরকার। 


ছোট আঙারিয়ার আগে এই বীরভূমেই ঘটে গেছিল ভয়াবহ আরেক গণহত্যার ঘটনা। ২০০০ সালের ২৭ জুলাই নানুরের সুচপুরে ১১ জন তৃণমূল সমর্থক খেতমজুরকে খুনের অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। ৮১ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। 


আরও পড়ুন- ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যালীলা নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, আজ বকটুই গ্রামে কেন্দ্রীয় দল, শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা, যাচ্ছে বাম প্রতিনিধি দলও