বীরভূম : বীরভূমের মহম্মদবাজারে শ্যুটআউট ( Birbhum ShootOut)। পাথর ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করা অভিযোগ উঠেছে। খাদান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাইক থামিয়ে পরপর ৩টি গুলি চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি।


সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, নিহত ওই ব্যবসায়ীর নাম তাপস দাস। ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি তোলাবাজির বলি? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার শ্যুটআউটকাণ্ড ঘটেছে এরাজ্যে। এবং এর আগেও ব্যবসায়ীদের তাক করে গুলি চালানো হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও আসানসোলে হোটেলে হাড়হিম করা শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটেছিল। হোটেলে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মালিককে পরপর গুলি করা হয়েছিল। 


আসানসোলে পুলিশ লাইনের পাশেই ছিল ওই হোটেল। সেখানে ঢুকে মালিককে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। হোটেলের লাউঞ্জে বসে ব্যবসা সংক্রান্ত আলোচনার সময় আচমকা পরপর গুলি করা হয়। শহরের বুকে অভিজাত হোটেলের মালিককে পরপর গুলির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই ব্যবসায়ীকে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ওই ব্যবসায়ী মারা গিয়েছিলেন।  


যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল তার ১০০ মিটারের মধ্যেই মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি। ২ জন আততায়ী ছিল। দুজনের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। নিরাপত্তারক্ষীকে আগ্নেয়াস্ত্রের সামনে রেখে ভয় দেখিয়ে সরানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপরে ঢুকেই কোনও কথা না বলেই গুলি চালানো হয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাছিলেন। ৪টি গুলি, মাথায়, বুকে, পেটে গুলির আঘাত ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।   


আরও পড়ুন, যাদবপুরে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের সমালোচনায় ব্রাত্য বসু


সূত্রের খবর, মৃতের নাম ছিল অরবিন্দ ভগত। হোটেল-সহ একাধিক ব্যবসার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। সন্ধেয় হোটেলের লাউঞ্জে বসে, ২ ব্যক্তির সঙ্গে ব্যবসায়িক আলোচনা সারছিলেন অরবিন্দ। সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীকে গান পয়েন্টে রেখে হোটেলে ঢুকে পড়েছিলেন ২ আততায়ী। এরপর মিনিট খানেকের অপারেশন। যদিও প্রাক্তন পুলিশকর্তা সলিল ভট্টাচার্য বলেছিলেন, 'ওই এলাকায় শিল্প এলাকা, খনি এলাকা, অত্যন্ত অস্থির এলাকা। যেখানে ঘটনাটি হয়েছে তার কাছেই রয়েছে মন্ত্রীর বাড়ি। তার কিছু দূরেই রয়েছে পুলিশের কেন্দ্র। যা হয়েছে মনে হয়েছে পুলিশের ভয় আর নেই। মন্ত্রীর জীবনহানিও হতে পারে। এটা কেন হয়েছে, বের করা প্রয়োজন।'