কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা কার্যতই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই আজ ডিন অফ ইসটুডেন্টস ও এক হস্টেল সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। এদিকে এহেন পরিস্থিতির মাঝেই যাদবপুরে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সমালোচনায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।


ব্রাত্য বসু বলেন, 'উপাচার্য হতে গেলে অধ্যাপক হিসেবে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক। উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপাল ইউজিসি-র গাইডলাইন কেন মানছেন না? নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাবলম্বীকে কেন দায়িত্ব দিচ্ছেন রাজ্যপাল?', প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর। যদিও উপাচার্য নিয়োগে জটিলতার দায় রাজ্যের উপরই, পাল্টা অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের।


সম্প্রতি যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার (Jadavpur University Student Death) নদিয়ার বাড়িতে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল (TMC Delegation)। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। পাশাপাশি ছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নারী ও শিশুকল্য়াণমন্ত্রী শশী পাঁজা ও সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। প্রতিনিধিদলে ছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী সায়নী ঘোষও। ওই দিন নাম না করেই বিরোধীদের নিশানা করেছিলেন তিনি। 


প্রতিক্রিয়ায় ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, 'দল যে সর্বতভাবে যাদবপুরের ওই মৃত পড়ুয়ার পরিবারের পাশে আছে', সেই বার্তা পৌঁছে দিতেই এদিন নদিয়া যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তবে এদিন কথা প্রসঙ্গে বলেন, 'কোথাও হয়তো তাঁর, আমাদের দলনেত্রীর প্রতি ভালবাসা আছে, তাঁকে দেখলেই রেরে করে ঝাপিয়ে পড়া,  যাদবপুরের একাংশের প্রবণতা হয়ে গিয়েছে।'


শিক্ষামন্ত্রী সেদিন আরও বলেছিলেন, 'যাদবপুরে একাংশের প্রবণতা হয়ে গিয়েছে স্ট্যালিন-মাওয়ের নাম করে যেন কাউকে খুন করে দেওয়া যায়, ছাত্রকে ওপর থেকে ফেলে দেওয়া যায়, নৈরাজ্যকর অবস্থা। এদিকে তাকানোর সময় এতদিনে এসে গিয়েছে', মন্তব্য করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি, এদিন নেতাজি ইন্ডোরে ইমামদের সম্মেলনে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'যাদবপুর নিয়ে আগে গর্ব করতাম, অথচ একটা ছেলেকে সিপিএমের ইউনিয়ন মেরে ফেলল।এরা জীবনে বদলাবে না', বলে এদিন যাদবপুরের বাম ছাত্র সংগঠনকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন, আগামী ৫ দিন প্রবল বর্ষণ, বাড়তে পারে নদীর জল স্তর, এই জেলাগুলিতে সতর্কতা জারি হাওয়া অফিসের


অপরদিকে, সিপিএম সাংসদ এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'মমতারই সমস্ত মদতপুষ্ট যে যে সংগঠন রয়েছে, তারই লোকজন এই কাজ করেছে। পুলিশও গ্রেফতার করেছে। উনি আতঙ্কিত হয়ে এইসব বলছেন। ভালই হচ্ছে, সকলের সামনে সবটা প্রকাশ পাচ্ছে। উনি এমন কাজ করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একদন উপাচার্য নিয়োগ করতে সাহায্য় করলেন যিনি আরএসএস-এর লোক।'