নান্টু পাল এবং আবীর ইসলাম, বীরভূম: আজ থেকে তারাপীঠ মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশে শিথিল করা হল নিয়ম। তবে মানতে হবে কোভিডবিধি। একই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে কঙ্কালীতলা মন্দিরেও। এবার থেকে প্রতি শনি ও রবিবার বসবে সোনাঝুরি খোয়াই হাট।



গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পর্যটন কেন্দ্র খুলবে, সামাজিক অনুষ্ঠানে ছাড়, এরকম ছাড় সংক্রান্ত বক্তব্য। করোনা আবহে সোমবারই রাজ্যে নতুন করে একগুচ্ছ ছাড়ের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মঙ্গলবার থেকেই তারাপীঠ মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশে শিথিল করা হল নিয়ম। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার থেকে একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি পুণ্যার্থী মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন।


পাশাপাশি ভোগ খাওয়ার ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই মন্দির খোলার বিষয়ে। তবে সব কিছুই হবে কোভিড বিধি মেনে। এজন্য নজরদারি চালাতে মন্দিরে চত্বরে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। এতদিন নামমাত্র ভক্ত আসতেন কঙ্কালীতলা মন্দিরে। এবার এখানেও দেওয়া হয়েছে ছাড়। কঙ্কালীতলা মন্দির কমিটির সেবায়েত বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী বলেন, "গর্ভগৃহে একসঙ্গে ৭জন ও মন্দির চত্বরে ১২ থাকতে পারবেন।" 


এদিকে, আগে প্রতিদিনই বসত সোনাঝুরি খোয়াই হাট। কিন্তু করোনয় বিধিনিষেধের জেরে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় তা। এবার থেকে সাতদিনের বদলে, প্রতি শনি ও রবিবার হাট বসবে। এদিকে, পর্যটনে ছাড় দেওয়ায় খুশি পর্যটকরাও। যে সব ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিটি ক্ষেত্রেই মেনে চলতে হবে কোভিড বিধি।


অন্যদিকে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের খুলছে পুরীর মন্দির। করোনা টিকার সার্টিফিকেট থাকলেই মন্দিরে প্রবেশাধিকার কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েও যাওয়া যাবে মন্দিরে । আপাতত রবিবার বন্ধ থাকবে পুরীর মন্দির। 
২০২১ সালের মাঝামাঝি পুরী মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য খুলে গিয়েছিল। তারপরই জগন্নাথ ধামে পর্যটকরা ভিড় জমান। ২০২২ এর শুরুতেই ভয়ঙ্কর ভাবে আছড়ে পড়ে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তারপরই  ১০ জানুয়ারি থেকে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে যায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা।  পুরীর কালেক্টর সমার্থ বার্মা এই খবর জানান। মন্দিরের তরফে জানানো হয়, উত্তুঙ্গ করোনা সংক্রমণ  প্রতিহত করতেই মন্দিরের দরজা সাময়িক বন্ধ রাখা হচ্ছে। এছাড়াও জানানো হয়, মন্দিরের সেবকদের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স, র‍্য়াপিড রেসপন্স টিম, কোভিড কেয়ার সেন্টার এবং মেডিক্যাল চেক-আপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।