আবীর ইসলাম, বীরভূম : এবছর বীরভূমে (Birbhum) জয়দেব কেঁদুলির মেলা (Jaydeb Kenduli Fair) হচ্ছে না।  জানিয়ে দিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। তবে মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) স্নানে বাধা নেই বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। 


কলকাতা হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে জয়দেব কেঁদুলির মেলা বাতিল করল বীরভূম জেলা প্রশাসন। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অজয় নদে কোভিড বিধি মেনে মকর সংক্রান্তির স্নানে বাধা নেই।


প্রতি বছর ১৪ জানুয়ারি বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের অজয়ের পাড়ে বাউল-ফকিরদের মেলা বসে। এখানেই গীতগোবিন্দের কবি জয়দেবের জন্মভিটে। ১৪ জানুয়ারি হয় মকর সংক্রান্তির স্নান। তারপর চলে মেলা। গত বছরও করোনা পরিস্থিতির কারণে জয়দেবের মেলা হয়নি।  এবছরও জেলা প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, মেলা হবে না। বোলপুরের মহকুমাশাসক অয়ন নাথ বলেছেন, 'এবছর মেলা হচ্ছে না। যদিও মকর সংক্রান্তির স্নান হবে। তবে নিয়ম মানতে হবে।'


করোনা আবহের জেরে এবছরও মেলা না হওয়ায় বাউল শিল্পী থেকে শুরু করে মন্দিরের সেবায়েত, সকলেরই মন খারাপ। কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বিষয়টি মেনে নিচ্ছেন তারা। ইলামবাজারের বাউল শিল্পী তন্ময় গড়াই বলেছেন, 'মেলা হচ্ছে না। গতবছরও মেলা হয়নি। এবছরও হচ্ছে না।তবে আমাদের মেনে নিতে হবে।' এদিকে, জয়দেব মন্দিরের সেবায়েত বেণীমাধব অধিকারী বলেছেন, 'এই কেন্দুলি মেলার সঙ্গে আমাদের অনেক বিষয় জড়িয়ে রয়েছে।  মন খারাপ আমাদের।  অনেকে ব্যবসা করে। প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। তা হবে না। কষ্ট লাগছেই।'


তবে মকর সংক্রান্তির স্নানের জন্য ইতিমধ্যে অজয়ের বিভিন্ন ঘাট প্রস্তুত করা হচ্ছে।  তবে বাইরে থেকে যে ভক্তরা স্নানের জন্য আসবেন, তাঁদের জন্য কোভিড গাইডলাইন ঠিক করতে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠকে বসবেন। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকার যদি নতুন করে কোনও নির্দেশিকা জারি করে, তাহলে মকর সংক্রান্তির স্নান নিয়েও সিদ্ধান্তে বদল হতে পারে। 


আরও পড়ুন- ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ হোটেল বুকিং, শান্তিনিকেতনকে পর্যটকশূন্য করার নির্দেশ