গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বোলপুর: ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সাসপেন্ডে হওয়া তিন ছাত্রকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অর্থনীতি বিভাগে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে ৩ জন ছাত্রছাত্রীকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাঁদেরকে নোটিশ দিয়ে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করা হল।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে ৩ জন ছাত্রছাত্রীকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে সেই সময়সীমা আরও বাড়িয়ে তিনমাস করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আরও তিন মাস করা হয়। অর্থাৎ মোট ৯ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এবার সেই সাসপেনশন মেয়াদ চলাকালীনই তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করা হলো তিন ছাত্রছাত্রীকে।
তিন পড়ুয়া হলেন- রূপা চক্রবর্তী, ফাল্গুনী পান এবং সোমনাথ সৌ। এঁদের নোটিশ পাঠিয়ে বরখাস্তের কথা জানানো হয়েছে। তবে, চিঠিতে তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।২৭ অগস্ট বেলা দেড়টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে এই আবেদন জানানো যাবে বলে জানান হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার সাপেক্ষে কোনও আবেদন না করলে তিন বছরের বরখাস্ত থাকার ওই নির্দেশই বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন, বিশ্বভারতীতে উপাসনা গৃহের সামনে তৃণমূলের রাখি অনুষ্ঠান, অনুব্রতের কথা মেনেই কাজ
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তিন পড়ুয়ার অভিযোগ, উপাচার্য চেয়ারে অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বসার পর থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে রবীন্দ্রনাথের কর্মভূমি সাধের শান্তিনিকেতনে। উপাচার্য আসনের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ই তিন ছাত্র ছাত্রী বিশ্বভারতীর নানান আন্দোলনের মুখ ছিল। আর সেই কারণেই তাঁদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেই সকলের অনুমান।
সূত্রের খবর, তিন পড়ুয়াকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি পীযুষ ঘোষ এবং অরণি চক্রবর্তী নামে দুই অধ্যাপককেও সাসপেন্ড করেছে বিশ্বভারতী। এই দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ছিল। উপাচার্যের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এই দু’জন।