ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, ময়ূরেশ্বর : অনুব্রত মণ্ডলহীন (Anubrata Mondal) বীরভূমে 'দিদির দূত' (Didir Doot) কর্মসূচিতে গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদ। এদিন ময়ূরেশ্বরের নন্দীগ্রামে পানীয় জল নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন বিধায়ক অভিজিৎ রায়। জল না পেলে ভোট দেব না বলে তৃণমূল বিধায়ককে জানিয়ে দেন গ্রামবাসী। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ময়ূরেশ্বরের বিধায়ক অভিজিৎ রায়। গতকালও গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক। 


স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "আমাদের জলের খুব অসুবিধা। হয়তো কারও বাড়িতে জল খাচ্ছি, তাদের তো অসুবিধা হচ্ছে। এভাবে লোকের বাড়িতে জল খেয়ে বেড়াব। সরকারিভাবে নিজস্ব কিছু পাব না ? জলের ব্যবস্থা না করলে ভোট কাউকে দেব না। "


কী বলছেন বিধায়ক ?


পরে তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায় বলেন, "জলস্বপ্ন প্রকল্প ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। সব গ্রামেই জল যাবে । ক্ষেত্র বিশেষে দু'-এক জায়গায় কল খারাপ হয়েছে। আমাকেও বলেছে, দু'-একটা কল যেভাবে খারাপ হচ্ছে । যথা সম্ভব এক সপ্তাহের মধ্যে মেরামতির চেষ্টা করব।" 


অন্যদিকে, 'দিদির দূত' কর্মসূচিতে গিয়ে আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগে বীরভূমে ফের গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়লেন আরেক তৃণমূল বিধায়ক। এদিন চিনপাই গ্রামে যান সিউড়ির বিকাশ রায়চৌধুরী। তাঁর সামনেই আবাস যোজনায় ঘর না মেলার অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসী। শেষ কিস্তির টাকা মেলেনি বলেও অভিযোগ করেন উপভোক্তারা। বিধায়ক টাকা ঢুকেছে দাবি করলেও, গ্রামবাসী অস্বীকার করেন। অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অন্য কেউ আবাসের টাকা নিয়েছে বলে দাবি করেন সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক। 


স্থানীয় এক মহিলা বলেন, "কতবার বলেছি ছেলেদের নিয়ে ঘরে থাকার কত কষ্ট। একটা ঘর দাও ! বলছে, নাম আসবে তবে হবে। ৯ বছর ধরে আটকে আছি। কোলে ছিলে নিয়ে সব জায়গায় যাই। কেন একটা খাসের জায়গা দেখে আমাকে ঘর করে দিতে পারছে না ? আমরা গরিব। খেটে খাই। আমরা সবাই তৃণমূলেই আছি।"


অপর এক বাসিন্দা বলেন, "ঘরের শেষ কিস্তির টাকা পাইনি। এক বছর ধরে আমার বেকার ভাতা বন্ধ হয়ে আছে। পাবে পাবে করে একবছর হয়ে গেল। বলছে, ব্লক যাও। ব্লক বলছে, তোমাদের পার্টির লোককে ধরো। "


আরও পড়ুন ; 'আমরা তো আপনাকে নিয়ে গেছি দিল্লি, আপনার বাবা নিয়ে যাননি', বেনজির বিক্ষোভের মুখে বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ