সিউড়ি : ফের বীরভূমে বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক। এবার গ্রুপ ছাড়লেন জেলার সহ সভাপতি উত্তম রজক ও জেলা সম্পাদক অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।
জেলা সহ সভাপতির দাবি, অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ায়, দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত। জেলায় বিজেপির সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেন জেলা সহ সভাপতি।
জেলা সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা ও দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহার আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ।
বিজেপির জেলা সভাপতি ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়াকে গুরুত্ব দিতে নারাজ দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক। তৃণমূলের কটাক্ষ, বিজেপি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ নির্ভর দলে পরিণত হওয়ায় এই ভাঙন।
আরও পড়ুন ; বিজেপিতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ-ত্যাগ অব্যাহত, এবার সরলেন শঙ্কুদেব পন্ডা
পুরভোটের প্রাক্কালে একের পর এক বিজেপি নেতা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। নতুন রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ায়, আগেই বিজেপির (BJP) মিডিয়া সেলের হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন সায়ন্তন বসু (Sayanta Bose)। সেই পথেই হাঁটেন পাঁচ বিধায়ক। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরে যান- গাইঘাটার বিধায়ক ও মতুয়া ঠাকুরবাড়ির সদস্য সুব্রত ঠাকুর। বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনীয়া। কল্যাণীর অম্বিকা রায়, রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী এবং হরিণঘাটার অসীম সরকার।
বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন বাঁকুড়ার চার বিধায়কও। নতুন জেলা সভাপতিকে নিয়ে ক্ষোভের কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি ইন্দাসের বিদ্রোহী বিধায়কের।
বারাসাত সাংগঠনিক জেলা (BJP Barasat Organisational District) থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন সংগঠনের সহ-সভাপতি ও আহ্বায়ক।
সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য ও জেলা কমিটিগুলিতে রদবদল হয়। সূত্রের খবর, তাতে মতুয়াদের তেমন প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ক্ষুব্ধ হন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ ও সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। তারপরই রাজ্য বিজেপির সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।
দিনকয়েক আগে বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। একই পথে হেঁটে বিজেপি যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শঙ্কুদেব পন্ডাও।