গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির গেটে দুধ-কলা রেখে এলেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, উপাচার্য জানিয়েছিলেন, বাড়ি থেকে বেরোতে না পারায় তাঁর খাওয়াদাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। তাই মানবিক কারণে এবার থেকে তিন বেলা উপাচার্যর বাড়ির সামনে খাবার রেখে আসা হবে বলে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা জানিয়েছেন।
তিন পড়ুয়াকে বরখাস্তের প্রতিবাদে টানা পাঁচদিন ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্যর বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছেন পড়ুয়ারা। আজ সকালে কংগ্রেসের তরফে বকুলতলা মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি লেখেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। জেলা পুলিশের কাছেও ই-মেল করে নিরাপত্তা চেয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
বিশ্বভারতীতে ইতিমধ্যেই ঢুকেছে পুলিশ। পাঁচদিন ধরে এখনও ঘরবন্দি রয়েছেন উপাচার্য। উপাচার্যের বাড়িতে খাবার দিতে গেলে, বিক্ষোভকারীদের বাধার সম্মুখীন হন কয়েকজন। আন্দোলনকারীদের তরফে খাবার দেওয়া হয় উপাচার্যকে। আর এই অচলাবস্থার গেরোয় বেতন বন্ধ শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের।
বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে, উপাচার্যের ঘরের সামনে মঞ্চ বেঁধে চলছে আন্দোলন। পাঁচ দিনের মাথাতেও, তার কোনও সমাধানসূত্র দূর অস্ত, উল্টে ক্যাম্পাসে এবার ঢুকল পুলিশ।
মঙ্গলবারই বীরভূম জেলা প্রশাসনকে ই-মেল করে নিরপাত্তা চেয়েছিলেন উপাচার্য। আচার্য-প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী চিঠিতে জানিয়েছিলেন তিনি বন্দি। বেরোতে পারছেন না। ভিতরে আনা যাচ্ছে না খাবার। বুধবার সকালে বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারাই ব্রেকফাস্ট পৌঁছে দেন উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকে। দুধ, কলা, পাউরুটি অবশ্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী গ্রহণ করেননি।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর, বাইরে থেকে দুজন খাবার পৌঁছে দিতে গেলে বিক্ষোভাকারীদের বাধার সম্মুখীন হন। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের দেওয়া খাবারই খেতে হবে।
ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে, এবার বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে ঢুকল কংগ্রেসও । বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদের নেতৃত্বে, মিছিল করে উপাচার্যের বাসভবনের গেটের সামনে হয় সভা। সেখান থেকে উপাচার্যকে দেওয়া হয় হুঁশিয়ারি।