বীরভূম: কখনও ফণী, কখনও আয়লা, কখনও আমফান। আর এবার রেমাল! নতুন ঘূর্ণীঝড়ের দিকেই এখন নজর সবার। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, অতি গভীর নিম্নচাপ পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ প্রান্তে চেন্নাই উপকূলের প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জলের ওপর দিয়ে অত্যন্ত ধীর গতিতে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করতে করতে ক্রমশঃ উত্তর - উত্তর পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। রেমাল সতর্কতার মধ্যেই নজর রাখা যাক বীরভূমের আবহাওয়াতে। দেখে নেওয়া যাক, সপ্তাহান্তে, ২৫ মে, শনিবার কেমন থাকবে বীরভূমের আকাশ?
শনিবার বীরভূমের সর্বাধিক তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রেমাল সতর্কতা থাকলেও, বীরভূমে সেভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। রেমালের ল্যান্ডফল নিয়েও এখনও কোনও স্পষ্ট নির্দেশ নেই। দুপুরের দিক থেকে কিছুটা মেঘলা আকাশ হতে পারে বীরভূমে, তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সন্ধেবেলাও মেঘ থাকতে পারে আকাশে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে সর্বাধিক ৮৪ শতাংশ।
বীরভূমের ভৌগলিক অবস্থান (Birbhum Geographical Location): বীরভূম, বর্ধমান বিভাগের উত্তরতম জেলা। আকারে এই জেলা ত্রিকোণ, যার নিম্নস্থ বাহুটি তৈরি করেছে অজয় নদী (Ajay River)। বীরভূমের পশ্চিম ও উত্তর সীমান্ত বরাবর প্রসারিত ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। পূর্বদিকে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। ভৌগোলিক বিচারে এই অঞ্চল ছোটনাগপুর মালভূমির উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। জেলাটির পশ্চিম দিকে প্রাকৃতিকভাবে পাথুরে গঠনে তৈরি হয়েছে মামা ভাগ্নে পাহাড় যা দুবরাজপুর (Dubrajpur) শহরের সন্নিকটে অবস্থিত। বীরভূমের পশ্চিমাংশ অতীতে বজ্জভূমি বা বজ্রভূমি নামে পরিচিত ছিল। জেলার পূর্বাংশ অপেক্ষাকৃত উর্বরতর। বীরভূমকে বলা হয় রাঙামাটির দেশ। এই জেলার ভূসংস্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় কিছুটা আলাদা। জেলাটির পশ্চিমাঞ্চল ছোটনাগপুর মালভূমির (Chhotanagpur) অন্তর্গত ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ একটি এলাকা। এই অঞ্চলটি পশ্চিমদিক থেকে ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে এসে মিশেছে পূর্বদিকের পলিগঠিত উর্বর কৃষিজমিতে।
আপেক্ষিক জলবায়ু (Birbhum Climate): বীরভূম জেলার পশ্চিমাংশের জলবায়ু (Climate) শুষ্ক ও চরম প্রকৃতির। পূর্বাংশের জলবায়ু তুলনামূলক মৃদু। গ্রীষ্মে (Summer) তাপমাত্রার পারদ ৪০º সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। শীতকালে (Winter) আবার ১০º সেলসিয়াসের নিচেও নামে পারদ। সাধারণত, মার্চের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকে উষ্ণ আবহাওয়া। জুনের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষাকাল এবং অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত শীতল আবহাওয়া থাকে। জেলার পশ্চিমাংশের বৃষ্টিপাত পূর্বাংশের তুলনায় অধিক। বর্ষায় রাজনগর ও নানুরে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের (Annual Rainfall) পরিমাণ যথাক্রমে ১৪০৫ মিলিমিটার ও ১২১২ মিলিমিটার।
বীরভূমের আজকের আবহাওয়া (Birbhum Today Weather) : শনিবার বীরভূমের সর্বাধিক তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রেমাল সতর্কতা থাকলেও, বীরভূমে সেভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। রেমালের ল্যান্ডফল নিয়েও এখনও কোনও স্পষ্ট নির্দেশ নেই। দুপুরের দিক থেকে কিছুটা মেঘলা আকাশ হতে পারে বীরভূমে, তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সন্ধেবেলাও মেঘ থাকতে পারে আকাশে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে সর্বাধিক ৮৪ শতাংশ।
সূর্যোদয় (Sunrise) - সকাল ০৪.৫৩
সূর্যাস্ত (Sunset) - বিকেল ০৬.১৭
বঙ্গের আজকের আবহাওয়া ( West Bengal Weather): এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের যা অভিমুখ তাতে সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় হতে পারে ল্যান্ডফল। কিছু কিছু আন্তর্জাতিক আবহাওয়া মডিউল দাবি করছে এটি শেষ মুহূর্তে স্থলভাগের একেবারে কাছাকাছি এসে সামান্য রিকার্ভ বা অভিমুখ পরিবর্তন করবে। দীঘা মোহনা সংলগ্ন এলাকায় কাছাকাছিও এটি আছড়ে পড়তে পারে। এর ফলে রবিবার উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হবে। উপকূল লাগোয়া এলাকায় বেশি বৃষ্টি হওয়ার কথা আর সমতলে কিছুটা কম। সঙ্গে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।