গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করল স্বামী (Husband Murders wife)। এমন নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি (Nalhati) থানা গোপাল চক গ্রামে। জানা গেছে, মৃত মহিলার নাম জুলেখা খাতুন(২০)।সম্পর্ক বিচ্ছেদের পরও শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মদ্যপ অবস্থায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রীকে খুন করে অভিযুক্ত।
জানা গেছে নলহাটি থানার গোপাল চক গ্রামের বাসিন্দা জুলেখা খাতুন। ১ বছর আগে নলহাটি থানার গোপালপুর গ্রামের আজমীর আলির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। বিয়ের মাত্র তিন মাস পরই জুলেখা ও আজমীরের সস্পর্কে বিচ্ছেদ হয়। স্বামীর বাড়ি ছেড়ে যান জুলেখা।
এরপর জুলেখা খাতুন বাবার বাড়ি গোপাল চক গ্রামে থাকতেন। গতকাল রাত্রে জুলেখার স্বামী আজমীর আলি মদ্যপ অবস্থায় চড়াও হয়। গোপালচক গ্রামে জুলেখার বাবার বাড়িতে গিয়ে একটি ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর বুকে আঘাত করে আজমীর।
মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জুলেখা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মুর্শিদাবাদের পাচগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে পার্শ্ববর্তী জেলা মুর্শিদাবাদের বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই রাতের দিকে জুলেখা খাতুনের মৃত্যু হয়।
স্ত্রীর বুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আজমীর আলি। কিন্তু চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে আজমীর আলিকে ধরে ফেলেন গ্রামের লোকজন। এরপর তাকে নলহাটি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় লোকজন। জুলেখা খাতুনের মৃত দেহ ময়না তদন্তের জন্য বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, বাঁকুড়ায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে গুরুতর জখম হলেন উভয় পক্ষের মোট ৬ জন। আজ দিনভর দফায় দফায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার রামপুরে। ঘটনার খবর পেয়ে সোনামুখী থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনায় আহতদের প্রথমে সোনামুখী গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।