প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: বগটুই গণহত্যা (Bogtui Genocide Case) মামলায় চার্জশিট (chargesheet) পেশ করল সিবিআই (CBI)। এই চার্জশিটে ৮ জনের নাম রয়েছে। বিকির আলি, নূর আলি, জামিরুল শেখ, হাফিজ শেখ-সহ ৮ জনের নাম রয়েছে বলে খবর। গ্রামে হামলার ঘটনায় প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল, উল্লেখ চার্জশিটে। সাক্ষীদের বয়ানে তাঁদের নাম উঠে আসে, খবর সিবিআই সূত্রে। ওই ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণের পরই চার্জশিটে খুনের (murder) অভিযোগ আনা হয়েছে, খবর সূত্রে।
কী জানা গেল?
চার্জশিটে যে ৮ জনের নাম রয়েছে , তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই খুনের মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে খবর। গ্রামে হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে এসেছে এঁদের বিরুদ্ধে, জানা যায় সিবিআই সূত্রে। সাক্ষীদের বয়ান, সিসিটিভি ফুটেজ-সহ একাধিক তথ্য়প্রমাণও জমা পড়েছে চার্জশিটের সঙ্গে। তবে তদন্তকারীদের দাবি, কয়েকজন এখনও ফেরার। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।
কী ঘটেছিল?
চলতি বছরে ২১ মার্চ রাতে খুন হন রামপুরহাট বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান ভাদু শেখ। তার পর ওই গ্রামের একের পর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় একাধিক জনের। ঘটনাস্থল থেকেই ১০ জনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য করে সরকার। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর অনেক মাস পেরিয়ে গেলেও সেই রাতের ঘটনা চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্বজনহারাদের । অগ্নিকাণ্ডের ৪ মাস পর বাড়িতে ফিরেছিলেন রামপুরহাটে বগটুই গ্রামের বাসিন্দা মিহিলাল শেখ , শেখ লাল শেখরা। বাড়ি ফিরে খুশি হলেও পুরনো স্মৃতি হানা দিচ্ছিল বার বার। স্বজনহারা মিহিলাল বলেছিলেন, 'আমরা প্রায় ৪ মাস পর বাড়ি ফিরলাম। এখনও অনেকেই বাড়ি ঠিকঠাক করছে। বাড়ি ফিরতে পেরে ভাল লাগছে। কিন্তু যাঁদের হারিয়েছি, তাঁরাও এই বাড়িতেই থাকতেন। তাঁদের আর কোনওদিন দেখে পাব না। সেই কষ্ট থেকেই যাচ্ছে।' তাঁর কথায়, 'রাজ্য সরকার যে টাকা দিয়েছিল, তা থেকে অনেক বেশি খরচ হয়েছে। তাই সহযোগিতার আবেদন করছি।' প্রসঙ্গত, বগটুইকাণ্ডের পরদিন অর্থাৎ ২২ মার্চ পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করে। পরে তদন্তভার পায় সিবিআই।
এবার সেই মামলারই চার্জশিট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন:ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া তৃণমূলের,আস্থা ভোটে টেক্কা দিল কংগ্রেস