কলকাতা: তদন্তভার নেওয়ার পর এই প্রথম রামপুরহাটকাণ্ডে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। তবে বাংলা থেকে নয়, রামপুরহাটকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মুম্বই (Mumbai) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে।
কাদের গ্রেফতার:
সিবিআইয়ের হাতে ধৃত চার জনের মধ্যে রয়েছে বাপ্পা শেখ ও সাবু শেখ নামে দুজন। ওই ঘটনায় করা এফআইআরে রয়েছে বাপ্পা শেখ ও সাবু শেখের নাম। বগটুইয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখ। বাপ্পা ও সাবু মূল অভিযুক্ত লালনেরই সঙ্গী বলে খবর। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দিন বগটুই গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছিল বাপ্পা শেখ ও সাবু শেখ। সূত্রের খবর, ওই ঘটনার পরদিনই ধৃত এই চারজন মুম্বই পাড়ি দেয়।
কীভাবে পাকড়াও:
পলাতক এই চারজনের খোঁজ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। সিবিআইয়ের রাডারে ছিল এরা। মোবাইল (Mobile Tower) ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে এদের খোঁজ মেলে তারপরই মুম্বই গিয়ে পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের কালই ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বই থেকে আনা হচ্ছে রাজ্যে।
এদিনই রামপুরহাটকাণ্ডে হাইকোর্টে (High Court) প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। সেখানে বলা হয়েছে যে, 'তদন্তভার নেওয়ার পর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। ভাদু শেখের বাড়ি ও আশেপাশে মানুষ হাঁটাচলা করেছে। তাই তথ্যপ্রমাণের বেশিরভাগটাই নষ্ট হয়ে গেছে। তবে আদালত নির্দেশ দিলে আমরা তদন্তভার গ্রহণ করব।' রিপোর্টে এও বলা হয়, 'আমরা এই মামলার তদন্তে টাওয়ার ডাম্পিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি।' এঅন্যদিকে রাজ্য হাইকোর্টে জানায়, 'রামপুরহাটে একটি এফআইআর-এই ভাদু খুনের মামলার ভার সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি ছিল। পুলিশ এই মামলার তদন্ত করছে। তাই সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার প্রয়োজন নেই।' এরই মধ্যে বগটুই হত্যাকাণ্ডে রামপুরহাট আদালতে ধৃতদের মধ্যে আটজনের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানাল সিবিআই। আবেদনের শুনানি ৮ এপ্রিল। সূত্রের খবর, জেরার সময় ফরেন্সিক সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্টে ধৃতদের কয়েকজনের ভঙ্গিমায় সন্দেহ হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত। কাল রামপুরহাটকাণ্ডে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।