সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: রামপুরহাটকাণ্ডে হাইকোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। সেখানে বলা হয়েছে যে, ‘তদন্তভার নেওয়ার পর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। ভাদু শেখের বাড়ি ও আশেপাশে মানুষ হাঁটাচলা করেছে। তাই তথ্যপ্রমাণের বেশিরভাগটাই নষ্ট হয়ে গেছে। তবে আদালত নির্দেশ দিলে আমরা তদন্তভার গ্রহণ করব’। 


রিপোর্টে এও বলা হয়, ‘আমরা এই মামলার তদন্তে টাওয়ার ডাম্পিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি’। এদিন হাইকোর্টে এমনটাই জানাল সিবিআই। অন্যদিকে রাজ্য হাইকোর্টে জানায়, ‘রামপুরহাটে একটি এফআইআর-এই ভাদু খুনের মামলার ভার সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি ছিল। পুলিশ এই মামলার তদন্ত করছে। তাই সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার প্রয়োজন নেই’।                         


রাজ্যের মন্তব্যর প্রেক্ষিতে আদালত জানতে চায়, ‘কারা ভাদু শেখের খুনের ঘটনার তদন্ত করছে?’ তবে মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রয়েছে।                          


আরও পড়ুন, এখনও বুক ধড়ফড়ানি কমছে না অনুব্রতের, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির জন্য বসল মেডিকেল বোর্ড


প্রসঙ্গত, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গত ২১ মার্চ রাতে তৃণমূলের উপ প্রধান ভাদু শেখ খুনের পরপরই রোষের আগুন জ্বলে ওঠে। বগটুই গ্রামে পরপর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৯ জনের। প্রথমে রাজ্য পুলিশের সিট ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সেই মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা ঘটনার তদন্ত করে। 


এদিকে এরই মধ্যে বগটুই হত্যাকাণ্ডে রামপুরহাট আদালতে ধৃতদের মধ্যে আটজনের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানাল সিবিআই। আবেদনের শুনানি ৮ এপ্রিল। সূত্রের খবর, জেরার সময় ফরেন্সিক সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্টে ধৃতদের কয়েকজনের ভঙ্গিমায় সন্দেহ হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত। কাল রামপুরহাটকাণ্ডে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।