ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: ফের কয়লা ‘পাচার’ ফের বেআইনি কয়লা পাচারচক্রের পর্দাফাঁস। পাচারের আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার ৪০০ কেজি কয়লা ও ৮টি মোটরবাইক আটক করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জন পাচারকারীকে। গতকাল সন্ধেয় নলহাটি থানার জয়পুর গ্রামের কাছে অভিযান চালিয়ে কয়লা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ঝাড়খণ্ড থেকে ওই কয়লা আনা হচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।
নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার থেকে কয়লা পাচার একের পর এক ইস্যুতে তোলপাড় চলছে রাজ্য রাজনীতিতে! তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গ্রেফতার হচ্ছেন হেভিওয়েটরা। কিন্তু, তারপরও কি পাচার বন্ধ হয়েছে? ফের এই প্রশ্ন উঠল অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকের এই ছবি দেখে বীরভূমে ফের কয়লা পাচার অভিযোগে শুরু শোরগোল! বাইকের ওপর বস্তার পাহাড়। এক একটি বাইকে প্রায় কয়েকশো কেজি কয়লা! পুলিশের নজর এড়াতে এভাবেই বাইকে হাজার হাজার কেজি কয়লা পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রবিবার সন্ধেয় জয়পুর গ্রামের কাছে অভিযান চালায় নলহাটি থানার পুলিশ। কয়লার বস্তা-সহ ধরা পড়ে একাধিক বাইক পুলিশ সূত্রে দাবি, উদ্ধার হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কেজি কয়লা। ৮টি বাইক আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার ৭ জন। পুলিশ সূত্রের দাবি, পাচারের জন্যই ঝাড়খণ্ড থেকে আনা হচ্ছিল বস্তা বস্তা কয়লা। কিন্তু, কোথায় তা পাচারের ছক ছিল তা খতিয়ে দেখছে নলহাটি থানার পুলিশ।
দুবরাজপুরে আটক কয়লা বোঝাই ডাম্পার: কয়লাপাচার তদন্ত চলাকালীন ফের বীরভূমে কয়লা পাচারের চেষ্টার অভিযোগ। দুবরাজপুরে আটক কয়লা বোঝাই ডাম্পার। গ্রেফতার চালক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে শাল নদীর কাছে কয়লা বোঝাই ডাম্পার আটক করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। প্রায় ১৫ টন কয়লা উদ্ধার করা হয়। কয়লা কোথা থেকে আনা হয়েছিল, কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ফের বীরভূমে বেআইনি কয়লা উদ্ধার করল পুলিশ। দুবরাজপুর থানা গতকাল রাতে কয়লা বোঝাই তিনটি গাড়ি আটক করে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ৬০ টন কয়লা ছিল। ওই কয়লা বোঝাই ট্রাকগুলি আসছিল ঝাড়খণ্ড থেকে। গন্তব্য ছিল বর্ধমান। পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ট্রাকের চালকরা। ২ জন ট্রাক চালককে আটক করেছে পুলিশ। এক ট্রাক চালক পলাতক।
ধাক্কা রাজ্য সরকারের: কয়লাপাচার মামলায় ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। স্বস্তিতে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।