ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: অভিনব কায়দায় পাচার হওয়ার আগে প্রায় ৪৪০০ কেজি কয়লা ও আটটি মোটর সাইকেল আটক (Detain) করল নলহাটি থানার পুলিশ (Police))। গ্রেফতার সাত জন কয়লা পাচারকারি। আরও কারা জড়িয়ে রয়েছে, ঘটনার তদন্তে নেমেছে নলহাটি থানার পুলিশ।


বীরভূমে কয়লা পাচারের প্ল্যান ভেস্তে দিল পুলিশ


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, গতকাল সন্ধ্যায় নলহাটি থানার জয়পুর গ্রামের কাছে বাইকগুলো আটক করে । সেই বাইকে করে ঝাড়খন্ড থেকে বস্তা বোঝাই করে কয়লা নলহাটি হয়ে রামপুরহাট দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। একজন কয়লা পাচারকারী পালিয়ে গেলেও সাতজনকে গ্রেফতার করে। আজ তাদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। প্রসঙ্গত, অক্টোবারের শুরুতে অনুব্রতর জেলাতেই প্রচুর পরিমাণে বেআইনি কয়লা উদ্ধার করেছে পুলিশ । বীরভূমের খয়রাশোলে কয়লা উদ্ধার করে পুলিশ। বেআইনি কয়লা মজুতের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। খয়রাশোলে তাঁদের খামারবাড়ি থেকেই ৬০ টন কয়লা উদ্ধার হয় বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।


কয়লা উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ। খয়রাশোলের দহল গ্রামে খামারবাড়িতে মজুত রাখা ছিল ৬০ টন বেআইনি কয়লা। বেআইনি কয়লা মজুতের অভিযোগ,  শেখ সাব্বান ও শেখ আনারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য শেখ হাসিবের ভাই। অভিযুক্তরা পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য শেখ হাসিবের ভাই। খয়রাশোল থানার পুলিশ উদ্ধার হওয়া কয়লা ট্র্যাক্টরে চাপিয়ে নিয়ে আসে থানায়।ওই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।  


আরও পড়ুন, চিরঘুমের দেশে অভিনেত্রী সোনালি চক্রবর্তী, স্ত্রীর মৃত্যুতে স্মৃতির শহরে শঙ্কর


দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, 'তৃণমূলের মদতেই কয়লা পাচার চলছে। দীর্ঘদিন ধরে এইভাবে জেলা থেকে কয়লা পাচার হচ্ছে। পুলিশ যা করছে তা আইওয়াশ। 'পাশাপাশি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন,'এটা যৌথ পরিবারের খামারবাড়ি। সেখানে কে কী রেখেছে, তার দায়িত্ব হাসিবের নয়। পুলিশ তদন্ত করছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।'  প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই মুহূর্তে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এদিকে কয়লাপাচার মামলায়, তোলপাড় রাজ্য। একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তার স্ত্রীকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাদ যাননি, শ্যালিকা মেনকাও।